১২শ পর্যটক নিয়ে সেন্টমার্টিন রুটে আজ থেকে জাহাজ চলাচল শুরু

চাটগাঁ নিউজ ডেস্ক: বহুল প্রতীক্ষার পর অবশেষে সেন্টমার্টিন রুটে আজ থেকে শুরু হয়েছে জাহাজ চলাচল।

আজ সোমবার (১ ডিসেম্বর) সকাল ৭টা ১৫ মিনিটে কক্সবাজার শহরের নুনিয়ারছড়া বিআইডব্লিউটিএ ঘাট থেকে তিনটি জাহাজে প্রায় ১২০০ পর্যটক দ্বীপের উদ্দেশে রওনা হন। সরকারের প্রণীত ১২ দফা নির্দেশনা বাস্তবায়নে জেলা প্রশাসন, পরিবেশ অধিদফতর ও ট্যুরিস্ট পুলিশ যাত্রীদের কঠোর যাচাই-বাছাই করে জাহাজে তুলে দেয়।

জাহাজ মালিকদের সংগঠন সি ক্রুজ অপারেটর ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক হোসাইন ইসলাম বাহাদুর জানান– কর্ণফুলী এক্সপ্রেস, এমবি বার আউলিয়া ও কেয়ারি সিন্দাবাদ এই তিনটি জাহাজে করে পর্যটকরা সেন্টমার্টিনের পথে যাত্রা করেন।

তিনি বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে রুটটি বন্ধ থাকায় ব্যবসায়ী ও স্থানীয় বাসিন্দারা অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। এবার দুই মাস আমরা ব্যবসা চালানোর চেষ্টা করবো। সরকার যদি আরও কিছু সময় রাত্রিযাপনের অনুমতি দিত, তাহলে ক্ষতি কিছুটা পুষিয়ে যেতে পারত।’

সেন্টমার্টিনে পর্যটক পরিবহন ব্যবস্থা পরিদর্শনে এসে জেলা প্রশাসক আব্দুল মান্নান জানান, ‘আজ থেকে সেন্টমার্টিনে রাত্রিযাপন করা যাবে। টিকিট ও ট্রাভেল পাস অনলাইনে কেটেই যেতে হবে এবং প্রবেশপথে কিউআর কোড স্ক্যান করে যাচাই করা হচ্ছে, যাতে নির্ধারিত সংখ্যার বেশি পর্যটক দ্বীপে প্রবেশ না করতে পারে।’

তিনি আরও বলেন, পরিবেশ সুরক্ষায় প্লাস্টিক ব্যবহার নিষিদ্ধ করতে প্রচারণা চালানো হচ্ছে এবং পর্যটকদের এলুমিনিয়ামের বোতল সরবরাহ করা হচ্ছে। সরকারের দেওয়া ১২ নির্দেশনা বাস্তবায়নে কক্সবাজার ও সেন্টমার্টিন অংশে ভলান্টিয়ার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন রয়েছে।

জানা গেছে, আগামী বছরের ১ ফেব্রুয়ারি থেকে আবার টানা ৯ মাস সেন্টমার্টিনে পর্যটক প্রবেশ সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ থাকবে। ভ্রমণ সময়সূচি ও পর্যটকসংখ্যা এবার কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রিত হবে।

এদিকে পরিবেশ অধিদপ্তরের নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে— রাতে সৈকতে আলো জ্বালানো, শব্দ সৃষ্টি, বারবিকিউ পার্টি, কেয়াবনে প্রবেশ, কেয়া ফল সংগ্রহ বা ক্রয়-বিক্রয় এবং সামুদ্রিক কাছিম, পাখি, প্রবাল, রাজকাঁকড়া, শামুক-ঝিনুকসহ যেকোনো জীববৈচিত্র্যের ক্ষতি করা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। সৈকতে মোটরসাইকেল, সি-বাইকসহ যেকোনো মোটরচালিত যান চলাচল নিষিদ্ধ থাকবে।

ভ্রমণকালে পলিথিন বহন করা যাবে না। একবার ব্যবহার্য প্লাস্টিক যেমন চিপসের প্যাকেট, প্লাস্টিক চামচ, স্ট্র, সাবান ও শ্যাম্পুর মিনিপ্যাক, ৫০০ বা ১০০০ মিলিলিটারের প্লাস্টিক বোতল ব্যবহার নিরুৎসাহিত করা হয়েছে। পর্যটকদের নিজেদের পানির ফ্লাস্ক সঙ্গে রাখার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

চাটগাঁ নিউজ/জেএইচ

Scroll to Top