ফটিকছড়ি প্রতিনিধি: চট্টগ্রামের ফটিকছড়ির মুলার খ্যাতি ছড়িয়ে পড়েছে সারাদেশে। উপজেলার হালদা নদী, ধুরুং লেলাং ও সত্তা খালের চরে বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে চাষ হয় এ জাপানি মুলা। এখানকার একেকটা মুলার ওজন হয় ৫-১০ কেজি পর্যন্ত।
প্রতিবছর মাঘ মাসে মাইজভান্ডারী ত্বরিকার প্রবর্তক সৈয়দ আহমদ উল্লাহ্ মাইজভান্ডারীর ওরশে ঘিরে মূলত এই মুলা বিক্রি হয় মেলায়। ভক্তদের কাছে যেটি ভান্ডারী মুলা হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। সারাদেশে থেকে আসা ভান্ডারী ভক্তগোষ্ঠী এই মুলা ক্রয় করে নিয়ে যায় নিজ এলাকায়।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে- হালদা, সর্তা ও ধুরুং খালের পাড়ে মুলা চাষে বাম্পার ফলন হয়েছে। এক একটি মুলা ৩০০-৫০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়। হালদার চরে বছরে এ মুলা তিন থেকে চার বার পর্যন্ত চাষ হয়। ফলে মুলা চাষ করে লাভবান হচ্ছে স্থানীয় কৃষকরা। একেকজন কৃষক ৩ মাসে ২ থেকে ৩ লাখ টাকা আয় করে।
প্রতিবছর ১০ মাঘের ওরশে মাইজভান্ডার আশ-পাশ এবং নাজিরহাট ঝংকার এলাকায় প্রায় ৫-৬ লাখ মুলা বিক্রি হয়। ফটিকছড়িতে গেল বন্যায় যে পাহাড়ি ঢলের কারণে পলি মাটিতে এবার মুলার উৎপাদন ভালো হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্ব স্ব এলাকার কৃষকরা।
এবার ১০ মাঘের ওরশে সব মিলিয়ে প্রায় ২০ কোটি টাকার মুলা বিক্রি হতে পারে বলে জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী।
চাটগাঁ নিউজ/আনোয়ার/জেএইচ