চাটগাঁ নিউজ ডেস্ক: সাদপন্থীদের গ্রেপ্তার,বিচার ও নিষিদ্ধ করার দাবিতে ১০ জানুয়ারি দেশব্যাপী বিক্ষোভ কর্মসূচির ডাক দিয়েছেন শুরা-ই-নেজাম বা বাংলাদেশের মাওলানা জোবায়ের অনুসারীরা।
শনিবার (৪ জানুয়ারি) দুপুরে কাকরাইল মসজিদ প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে দেশব্যাপী এ বিক্ষোভ কর্মসূচির ডাক দেন তারা।
সংবাদ সম্মেলনে জোবায়েরপন্থী মাওলানা নাজমুল হাসান কাসেমী বলেন, ২০১৮ সালেও টঙ্গীর ইজতেমা ময়দানে হামলা ও হত্যার ঘটনা ঘটেছে। ওই ঘটনার বিচার হলে ২০২৪’র ডিসেম্বরে হামলা ও হত্যার ঘটনা ঘটতো না। এবারও যদি হামলাকারীরা ছাড় পেয়ে যায়, তবে ভবিষ্যতে আবারও এমন ঘটনা ঘটতে পারে।
সংবাদ সম্মেলনে খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক বলেন,এখানে তারা হেফাজতের নেতা হিসেবে নয়, আলেম-ওলামা হিসেবে এসেছেন। তাবলিগ জামাতের কার্যক্রম যদি ইসলাম ধর্মের কাজ হয়ে থাকে, তবে কোরআন ও সুন্নাহর বিষয়ে সিদ্ধান্ত আলেমরাই দেবেন। তাবলিগের দু’পক্ষের সমস্যা সমাধানে আলেমরা মধ্যস্থতা করার চেষ্টা করেছেন। সরকারও চেষ্টা করছে।
মামুনুল হক আরও বলেন, টঙ্গীর ইজতেমা ময়দানে তিনজনকে হত্যা করা হয়েছে। হামলা ও হত্যার শাস্তি হওয়া উচিত। তাবলিগের কাজ নিয়ে ভারতের একজন ব্যক্তির বিতর্কিত মন্তব্যে সেদেশে সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। ভারতের এ সমস্যা যেন বাংলাদেশে টেনে আনা না হয়। এখন বাংলাদেশে সবাই মিলেমিশে কাজ করলে সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। তবে যারা হত্যায় জড়িত, তাদের বিচার হতেই হবে।
সংবাদ সম্মেলনে মূল বক্তব্য তুলে ধরেন মাওলানা নাজমুল হাসান কাসেমী। এতে হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা শাহ মুহিবুল্লাহ বাবুনগরী, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক, চট্টগ্রাম হাটহাজারী মাদ্রাসার মহাপরিচালক আল্লামা খলিল আহমদ কোরাইশী, হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব আল্লামা শায়েখ সাজিদুর রহমান, বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়ার মহাসচিব মাওলানা মাহফুজুর হক উপস্থিত ছিলেন।
চাটগাঁ নিউজ/ইউডি