নিজস্ব প্রতিবেদক : নগরের অক্সিজেন কুয়াইশ সড়কের অনন্যা আবাসিক এলাকায় জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের কালভার্ট নির্মাণের পাইলিং করার সময় ওয়াসার পানি সরবরাহ পাইপটি ফেটে ৮-১০ ইঞ্চি ছিদ্র হয়ে যায়। সোমবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বিকালে ঘটে যাওয়া এই দুর্ঘটনার সমাধান গত চার দিনেও করতে পারেনি চট্টগ্রাম ওয়াসা।
ঘটনার পর ওই দিন সন্ধ্যা থেকে পাইপের ফুটো সারানের কাজ শুরু করেছে ওয়াসা। তবে দুঃখজনক হলেও সত্যি মেরামতের চারদিন পেরিয়ে গেলেও এখনো পর্যন্ত পাইপের ফুটো তারা সারাতে পারেনি। ফেটে যাওয়া পাইপটি সারাতে রাতদিন কাজ করছেন ওয়াসার প্রকৌশলী, মেকানিকরা। অথচ পানি পাওয়ার কোন সম্ভাবনার সংবাদ তারা দিতে পারছেন না। চারদিন ধরে সরবরাহ বন্ধ থাকায় নগরীর পানি বঞ্চিত বড় একটি অংশের মানুষের মাঝে ক্ষোভ ঘনীভূত হচ্ছে।
এ ব্যাপারে চট্টগ্রাম ওয়াসার প্রধান প্রকৌশলী ইঞ্জিনিয়ার মাকসুদ আলম চাটগাঁ নিউজকে বলেন, পাইপের ফেটে যাওয়া অংশ সারাতে আমাদের নিরন্তর চেষ্টা রয়েছে। তবে মেকানিক্যাল কাজ নিয়ে আগাম কিছু বলা যাচ্ছে না। আমরা আজ রাতের মধ্যে (বৃহস্পতিবার) কাজ শেষ করতে চাই। নগরীর বেশ কিছু এলাকায় পানি সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। এটা নিঃসন্দেহে দুচিন্তার বিষয়। সবাইকে ধৈর্য্য ধরার অনুরোধ জানাচ্ছি।
জানা যায়, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের কালভার্ট নির্মাণের পাইলিং করার সময় ওয়াসার সরবরাহ পাইপটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এর পর থেকেই এ পাইপলাইন দিয়ে পানি সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। এতে দুর্ভোগে পড়েন নগরীর লাখো মানুষ।
ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া পাইপটি দিয়ে রাঙ্গুনিয়া উপজেলায় অবস্থিত ওয়াসার কর্ণফুলী পানি শোধনাগার-১ থেকে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় পানি সরবরাহ করা হয়।
৪৮ ইঞ্চি ব্যাসের পাইপ লাইনটি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় নগরীর উত্তর ও দক্ষিণ হালিশহর, আগ্রাবাদ, নয়া বাজার, মাদারবাড়ি, দেওয়ানহাট, ধনিয়ালাপাড়া, লালখান বাজার, ওয়াসার মোড়, জিইসি মোড়, ২ নম্বর গেট, বায়েজিদ বোস্তামি, নাসিরাবাদ, অক্সিজেন, মুরাদপুর, কদমতলী, আনন্দবাজার, রৌফাবাদ, রুবি গেট, হিলভিউ আবাসিক, মোমেনবাগ, বহদ্দারহাট, কুয়াইশ, নন্দনকানন, জামালখান, সিরাজউদ্দৌলা রোড, চকবাজার, আন্দরকিল্লা সংলগ্ন এলাকায় পানি সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। এতে করে সংশ্লিষ্ট এলাকার জনসাধারণকে নলকূপের পানি, বোতলজাত পানি দিয়েই মেটাতে হচ্ছে দৈনন্দিন চাহিদা।
নগরীর লালখান বাজার এলাকার বাসিন্দা আবু তালেব বলেন, একটি পাইপ সারাতে এতদিন কেন লাগছে বুঝলাম না। এরকম হলে তো লোকজন রাস্তায় নামবে।
চাটগাঁ নিউজ/ইউডি/এসএ