চাটগাঁ নিউজ ডেস্ক: কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং—শামলাপুর সড়কে তিনটি সিএনজি (অটোরিকশা) গতিরোধ করে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এতে ড্রাইভারসহ ৮ জন অপহরণের শিকার হলেও পরে স্থানীয় জনতা এবং পুলিশ তিন ড্রাইভার ও এক যাত্রীকে উদ্ধার করেছে। আরও ৪ জন যাত্রী রয়ে গেছে ডাকাতের কবলে।
উদ্ধার হওয়া ব্যক্তিরা হলেন – টেকনাফের হোয়াইক্যং দৈংগ্যাকাটার (সিএনজি ড্রাইভার) আনোয়ারুল ইসলাম, ঝিমংখালির জাফর আলম, বাহারছড়ার মো. আব্দুল্লাহ এবং যাত্রী মো. সেলিম। ডাকাতের কবলে থাকা ব্যক্তিদের পরিচয় জানা যায়নি।
শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) রাতে টেকনাফ হোয়াইক্যং—শামলাপুর সড়কের কুদুম গুহা নামক স্থানে এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেন শামলাপুর বাজারের সিএনজি সমিতির (লাইন পরিচালক) আব্দুর রহিম।
তিনি বলেন, শুক্রবার সন্ধ্যার কিছু পরে হোয়াইক্যং বাজার থেকে শামলাপুরগামী যাত্রীসহ তিনটি সিএনজি কুদুম গুহা নামক স্থানে পৌঁছালে অস্ত্রধারী একটি ডাকাত দল সিএনজিগুলো গতিরোধ করে ড্রাইভারসহ ৮ জনকে অপহরণ করেন। এ ঘটনার খবর পেয়ে স্থানীয় জনতা ও বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ মিলে কুদুম গুহা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ড্রাইভারসহ ৪ জনকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। বাকি আরও ৪ যাত্রীকে ডাকাত দল গহীন পাহাড়ের ভেতর নিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ (পুলিশ পরিদর্শক) সমিউর রহমান বলেন, শামলাপুরগামী তিনটি যাত্রীসহ সিএনজি কুদুম গুহা নামক স্থানে ডাকাতদলের কবলে পড়ে। সংবাদ পেয়ে তাৎক্ষণিক স্থানীয় জনতা ও পুলিশের টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছে ৪ জনকে উদ্ধার করা গেলেও বাকি আরও ৪ যাত্রী ডাকাত দলের কবলে রয়েছে গেছে। রাত গভীর হওয়ায় তাদের উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। তাদের উদ্ধারে সর্বাত্মক চেষ্টা চলছে।
উল্লেখ্য, টেকনাফের হোয়াইক্যং-শামলাপুর সড়ক দিয়ে বিভিন্ন গাড়িযোগে যাত্রীরা আসা-যাওয়া করার সময় প্রায় ডাকাতি ও অপহরণের ঘটনা ঘটে। এছাড়া সংঘবদ্ধ চক্রের হাতে ধর্ষণ ও হত্যার মত ঘটনা ঘটেছিল এই স্থানগুলোতে। আলোচিত মেজর সিনহা হত্যাও ঘটেছিল এই শামলাপুর চেকপোস্টে।
চাটগাঁ নিউজ/জেএইচ