চাটগাঁ নিউজ ডেস্ক: আখাউড়া সীমান্ত দিয়ে ভারতে পালানোর বদলে এবার হেলিকপ্টার চড়ে চট্টগ্রাম এলেন রাউজানের সাবেক সংসদ সদস্য এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী। তবে প্রধান অতিথি হিসেবে নয়, এসেছেন আসামির হাতকড়া পড়ে।
এর আগে গত ১২ সেপ্টেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া সীমান্ত দিয়ে ভারতে পালানোর সময় বিজিবির হাতে আটক হন পাঁচবারের নির্বাচিত এই সাংসদ। তার বিরুদ্ধে পাসপোর্ট আইনে মামলা হয়েছে। তারপর থেকে তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কারাগারে ছিলেন।
আজ বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলের দিকে তাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া স্টেডিয়াম থেকে একটি হেলিকপ্টারযোগে আনা হয়। পরে হেলিকপ্টারটি চট্টগ্রাম পুলিশ লাইনস মাঠে নামে। এরপর কড়া নিরাপত্তায় পুলিশি পাহারায় তাকে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাবেদুর রহমান বলেন, ফজলে করিম চৌধুরীর নামে চট্টগ্রামে প্রায় ৬-৭টি মামলা হয়েছে শুনেছি। সেখানের সংশ্লিষ্ট আদালতে তাকে হাজির করতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেল সুপারের কাছে চিঠি এসেছিল। সেই অনুযায়ী আমরা প্রস্তুতি নিয়ে নিরাপত্তার সহিত হেলিকপ্টার দিয়ে চট্টগ্রামের জেল সুপারের কাছে ফজলে করিম চৌধুরীকে হস্তান্তর করেছি।
চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের ডেপুটি জেলার মো. ইব্রাহীম বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া কারাগার থেকে বৃহস্পতিবার বিকেল সোয়া পাঁচটার দিকে এবিএম ফজলে করিম চৌধুরীকে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে আনা হয়েছে। বর্তমানে তিনি চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে আছেন।
উল্লেখ্য, ১৮ সেপ্টেম্বর (বুধবার) ফজলে করিমকে চট্টগ্রাম আদালতে তোলার কথা থাকলেও পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা না থাকায় সেটা আর সম্ভব হয়ে উঠেনি। কবে নাগাদ তাকে আদালতে তোলা হবে এই বিষয়ে কারো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তার বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম নগর ও জেলার বিভিন্ন থানায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিতে শিক্ষার্থী হত্যা, ছাত্রদল নেতা নুরুল আলম হত্যাসহ ১০টি মামলা রয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর তার বিরুদ্ধে এসব মামলা হয়।
চাটগাঁ নিউজ/জেএইচ