নিজস্ব প্রতিবেদকঃ চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন পরিচালিত হেলথ সেন্টারগুলোকে জেনারেল হাসপাতালে পরিণত করার পরিকল্পনা নিচ্ছেন মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন।
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের আমন্ত্রণে চট্টগ্রাম চক্ষু হাসপাতাল ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের সার্বিক সহযোগিতায় অরবিস ফ্লাইং আই হসপিটাল চট্টগ্রামে পঞ্চম বারের মতো দুই সপ্তাহ ব্যাপী চক্ষু প্রশিক্ষণ প্রকল্প শুরু হয়েছে।
আজ রোববার (১৭ নভেম্বর) চট্টগ্রামের পাহাড়তলীস্থ চট্টগ্রাম চক্ষু হাসপাতাল ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের ইমরান সেমিনার হলে প্রকল্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই পরিকল্পনার কথা ব্যক্ত করেন।
পরিকল্পনা সম্পর্কে তিনি বলেন, সিটি করপোরেশনের চিকিৎসা কেন্দ্র গুলোকে আমি জেনারেল হাসপাতালে পরিণত করতে চাই, যাতে মানুষ সেবা নিতে পারে। প্রতিটি ওয়ার্ডে আরবান ডিসপেনসারি করতে চাই। আরবান ডিসপিনসারি করতে পারলে ক্লিন, গ্রিন ও হেলদি সিটি করতে পারব। ওয়েস্ট প্রডাক্ট ম্যানেজমেন্ট প্ল্যান্ট করা জরুরী। যাতে পরিচ্ছন্ন নগরী গড়া যায়। আবর্জনা থেকে জ্বালানি উৎপাদন সম্ভব। আমাদের সবাইকে একসাথে কাজ করতে হবে।
মেয়র ডা.শাহাদাত হোসেন বলেন, বৃহত্তর চট্টগ্রামে চোখের চিকিৎসায় এই চক্ষু হাসপাতাল অসামান্য অবদান রেখে চলেছে। অরবিস প্রযুক্তি বিনিময়ে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। গত ২২ বছর ধরে তারা বাংলাদেশে আসছে। মানবতার সেবায় অবদান রেখে চলেছে। দায়িত্ব গ্রহণের প্রথম দিনেই আমি ডেঙ্গু ম্যানেজমেন্ট সেন্টার স্থাপন করেছি মেমন হাসপাতালে।একটি কিডনি ডায়লাইসিস সেন্টার সেথানে করতে চেষ্টা করছি। যাতে দরিদ্র রোগীরা এই সেবা পেতে পারে। তিনি পঞ্চম বারের মতো অরবিস উড়স্ত হাসপাতাল চট্টগ্রামে অবতরণ করায় অরবিস কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানান।
সিআইআইটিসির প্রতিষ্ঠাতা ও ম্যানেজিং ট্রাস্টি অধ্যাপক ড. রবিউল হোসেন বলেন, অরবিস ইন্টারন্যাশনাল চট্টগ্রাম চক্ষু হাসপাতাল ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে বিগত ২৫ বছর আগ থেকে কাজ শুরু করেছেন। অরবিস বাংলাদেশে আধুনিক চক্ষু চিকিৎসার ক্ষেত্রে চিকিৎসক, নার্সদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ মানবসম্পদ তৈরিতে কাজ করে যাচ্ছে। অরবিসের চিকিৎসক, নার্স এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় জনবল প্রশিক্ষণের মাধ্যমে আজকে চট্টগ্রাম চক্ষু হাসপাতাল ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র শিশুদের চিকিৎসায় উন্নত প্রশিক্ষণ কেন্দ্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
বাংলাদেশে ফ্লাইং আই হসপিটাল প্রজেক্ট আয়োজন কমিটির আহবায়ক প্রফেসর ডা. মো. মুনিরুজ্জামান ওসমানী সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন- অরবিস ইন্টারন্যাশনালের প্রেসিডেন্ট ও সিইও ডেরেক হডকি, অরবিস ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর ডা. মুনির আহমেদ, অরবিস ফ্লাইং আই হসপিটালের ডিরেক্টর মরিস গ্যারি, সিইআইটিসি-এর মেডিকেল ডিরেক্টর ডা. রাজিব হোসেন।
এর আগে সকালে চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের সদস্য (পরিচালনা ও পরিকল্পনা) এয়ার কমডোর আবু সাঈদ মেহ্বুব খান, বিএসপি, বিইউপি, এনডিসি, পিএসসি, চট্টগ্রাম শাহ্ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন শেখ আব্দুল্লাহ আলমগীর, এএফডব্লিউসি, পিএসসি উপস্থিত ছিলেন।
১৭ নভেম্বর থেকে এ প্রশিক্ষণ শুরু হয়ে চলবে ২৮ নভেম্বর পর্যন্ত। শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবস্থিত ফ্লাইং আই হসপিটাল এবং অরবিসের পার্টনার হাসপাতাল চট্টগ্রাম চক্ষু হাসপাতাল ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে এই প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হবে। বাংলাদেশে অরবিস ফ্লাইং আই হসপিটালের এটি একাদশতম অবতরণ। প্রথমবার ১৯৮৫ সালে এবং সর্বশেষ ২০১৭ সালে এই প্রশিক্ষণ প্রকল্প অনুষ্ঠিত হয়।
চাটগাঁ নিউজ/ইউডি