সিপ্লাস ডেস্ক: ইসরাইলের সাথে ফিলিস্তিনের সশস্ত্র সংগঠন হামাসের সংঘর্ষ গড়িয়েছে চতুর্থ দিনে। হামাসের হামলায় এখন পর্যন্ত অন্তত ৯০০ জন ইসরাইলি নিহত হয়েছেন। অন্যদিকে ইসরাইলের পাল্টা বিমান হামলায় নিহত হয়েছেন কমপক্ষে ৬৯০ ফিলিস্তিনি। এসব হামলায় এরইমধ্যে আহতের সংখ্যা পাঁচ হাজার ছাড়িয়েছে।
হামাসের হামলায় ইসরাইলি নাগরিক ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, জার্মানি, আয়ারল্যান্ড, মেক্সিকো, ব্রাজিল, নেপাল, থাইল্যান্ড এবং ইউক্রেনের বেশ কয়েকজন নাগরিক নিহত ও অপহরণের শিকার হয়েছেন বলে জানা গেছে।
আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার রাতে লাগাতার বোমাবর্ষণে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে গাজার একাধিক স্থাপনা। গাজার বাসিন্দারা আতঙ্ক ও অন্ধকারে আরেকটি রাত কাটিয়েছে।
জাতিসংঘের মানবিক ত্রাণ সংস্থা বলছে, গাজা উপত্যকায় গেলো ২৪ ঘণ্টায় প্রায় এক লাখ ৮৭ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি তাদের বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়েছে।
ইসরাইলি বিমান হামলা অব্যাহত থাকায় এই সংখ্যা আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ফিলিস্তিনের আল-আকসা শহিদ ব্রিগেড বলেছে, তাদের যোদ্ধারা অধিকৃত পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি বাহিনীর সাথে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে।
সশস্ত্র গোষ্ঠীটি টেলিগ্রামে জানিয়েছে, তাদের যোদ্ধারা নাবলুসে ইসরাইলি বাহিনী এবং জেনিনে ইসরাইলি সাঁজোয়া যান লক্ষ্য করে আক্রমণ চালাচ্ছে।
গাজায় আহতদের চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছে কর্তৃপক্ষ। হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলা আশঙ্কা করছে ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
জাতিসংঘের ত্রাণ সংস্থা জানিয়েছে, গাজা উপত্যকার বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে অন্তত এক লাখ ৩৭ হাজার ফিলিস্তিনি আশ্রয় নিয়েছে।
সোমবার গাজায় ইসরাইলি বিমান হামলায় দুই সাংবাদিক নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।তুরস্কের আনাদোলু এজেন্সি
জানিয়েছে, নিহত দুই সাংবাদিকের নাম সাইদ আল-তাভিল এবং মোহাম্মদ সোব। তবে তাদের বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি।
এদিকে ইসরাইলের ভেতরে একাধিক অঞ্চলে এখনও লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে হামাস যোদ্ধারা।
হামাসের সামরিক শাখা আল-কাসাম ব্রিগেডের মুখপাত্র আবু উবাইদা সোমবার জানিয়েছিলেন, ফিলিস্তিনি যোদ্ধারা এখনও গাজা উপত্যকার বেশ কয়েকটি এলাকায় যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে। এসব এলাকার মধ্যে রয়েছে ওফাকিম, সেডেরোট, ইয়াদ মোর্দেচাই, কেফার আজ্জা, বেইরি, ইয়াতিদ এবং কিসুফিম।
ইসরাইলি বন্দীদের হত্যার হুমকি হামাসেরইসরাইলি বন্দীদের হত্যার হুমকি হামাসের
তবে এসব অঞ্চলের বর্তমান পরিস্থিতি ও হতাহতের কোনো তথ্য জানায়নি কর্তৃপক্ষ।
ইসরাইলের জাতীয় স্বেচ্ছাসেবক জরুরি চিকিৎসা সেবা ইউনাইটেড হাটজালাহ’র মুখপাত্র রাফেল পোচ জানান, হামাসের হামলার পর বিশৃঙ্খলা দেখা দিয়েছে।
মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন অবস্থানে হামলার হুমকি হিজবুল্লাহরমধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন অবস্থানে হামলার হুমকি হিজবুল্লাহর
ইসরায়েল জুড়ে প্রায় দেড় হাজার স্বেচ্ছাসেবক কাজ করছে উল্লেখ করে পোচ বলেন, আহতদের উদ্ধার করে হেলিকপ্টার ও অ্যাম্বুলেন্সে নিকটস্থ হাসপাতালে নেয়া হচ্ছে।
তিনি বিবিসিকে জানান, শনিবারের নৃশংস হামলার এ পর্যন্ত ৯০০ জন নিহত হয়েছেন। হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়বে বলে তার আশঙ্কা।