চাটগাঁ নিউজ ডেস্ক : বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে নোয়াখালী হাতিয়ার সাথে সকল ধরনের নৌ যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। এতে করে দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে ঘাটে অবস্থানরত যাত্রীদের।
রবিবার (২৬ মে) সকালে উপজেলার নলচিরা ঘাটে গিয়ে দেখা যায় শত শত যাত্রী নদী পারাপারের জন্য বসে আছেন। কোনো ধরনের যানবাহন না চলার কারণে তাদেরকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
হাছনা বেগম নামে এক নারী বসে বসে কান্না করছেন, তাকে কান্নার কারণ জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, গত রাতে আমার ভাই কারেন্টে সক খেয়ে নোয়াখালীতে মারা যায়, আজ সকাল ১০টায় জানাজা, ভোর ৬টা থেকে ঘাটে বসে আছি, কিন্তু নদীর অবস্থা খারাপ হওয়ায় কোনো ট্রলার ছাড়ছে না। ভাইকে শেষ দেখাটাও দেখতে পারলাম না।
এদিকে ঘূর্ণিঝড় রিমাল দেশের দক্ষিণাঞ্চলে আজ দুপুর নাগাদ আঘাত হানতে পারে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশের আবহাওয়া অধিদপ্তর। হাতিয়াকে ৬ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখানো হয়েছে।
হাতিয়ায় ঘূর্ণিঝড় সম্পর্কে জনগণকে সচেতন করতে মাইকিং করা হয়েছে। গত রাত থেকে এখন পর্যন্ত সিপিপির সদস্যরা বিভিন্ন হাট বাজার ও গ্রাম অঞ্চলে বেড়ীবাঁধের উপর এই মাইকিং করেন।
এ সময় বেড়ীবাঁধের বাইরে থাকা লোকজনকে নিরাপদে আশ্রয় নেয়ার জন্য বলা হয়। হাতিয়াতে সিপিপির ১৭৭ টি ইউনিটের প্রতিটি ইউনিটের সদস্যরা এ মাইকিং করেন।
এছাড়া সকাল থেকে হাতিয়া দমকা হাওয়া বয়ে যাচ্ছে। সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে। মানুষের মধ্যে এক ধরনের আতংক বিরাজ করছে। বেড়ির বাইরে অবস্থান করা ছোট ছোট চা দোকানগুলি মালামাল বেডির ভিতরে নিয়ে যেতে দেখা যায়।
হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শুভাশীষ চাকমা জানান, হাতিয়াতে ২৪২ আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। হাতিয়ার ৯ টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার জনপ্রতিনিধিদের সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। উপজেলা পরিষদ থেকে করা কন্ট্রোল রুম থেকে প্রতিটি ইউনিয়নের সার্বক্ষণিক যোগাযোগ করা হচ্ছে।
চাটগাঁ নিউজ/এসআইএস







