নিজস্ব প্রতিবেদকঃ পুরদমে চলছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন চট্টগ্রাম-৫ (হাটহাজারী) আসনের প্রার্থী সাবেক সাংসদ ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ এর নির্বাচনী প্রচারণা।
সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) বিকাল থেকে তিনি উপাজেলার ছিপাতলি ইউনিয়নে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে লাঙ্গল প্রতীকের ভোট চেয়ে তার নির্বাচনী প্রচারণা চালান।
এই সময় তার সাথে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব ইউনুছ গণি চৌধুরী, মেখল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ সালাউদ্দিন চৌধুরী, ছিপাতলি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল হাসান লাবু, মির্জাপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি আকবর হায়দার চৌধুরী, সৈয়দ মঞ্জুরুল আলম।
উক্ত প্রচারণায় উপস্থিত বক্তাদের মধ্যে মেখল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ সালাউদ্দিন চৌধুরী বলেন, “আমাদের হাটহাজারীতে উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সংগ্রামী সভাপতি আমাদের প্রাণপ্রিয় নেতা জনাব এম.এ সালাম নৌকা মার্কা পেয়েছিলেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ওনাকে সংশোধিত করে জনাব আনিসুল ইসলাম মাহমুদকে মনোনয়ন দিয়েছেন। তাহলে আপনাদের ভয় কিসের। আপনারা কি ভাইয়ের রাজনীতি করেন, নাকি নেত্রীর রাজনীতি করেন। যদি ভাইয়ের রাজনীতি করেন তাহলে ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মহোদয়ের কোনো কাজে আসার দরকার নেই। আর যদি আপনারা নেত্রীকে ভালোবাসেন, যদি নেত্রীকে আবারো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চান তাহলে অবশ্যই লাঙ্গলের নির্বাচনী প্রচারণায় সামিল হবেন”।
প্রচারণার সময় চাটগাঁ নিউজের এক সাক্ষাৎকারে ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেন, “আমি চট্টগ্রামের যেই জায়গায় যাচ্ছি প্রত্যেকটা জায়গায় সুষ্ঠু নির্বাচন এবং ভোটারদের অংশগ্রহণের কথা বলছি। কারন আমরা চাই নির্বাচনটা সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক হোক। যেটা সকল মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে”।
এসময় তিনি আরো বলেন, “উন্নয়নের কাজ কখনো থেমে থাকে না। একটা রাস্তা মাটি দিয়ে নতুন করলেও উন্নয়ন, পরবর্তীতে ব্রিক সলিন করলে সেটাও উন্নয়ন, কার্পেটিং করলেও উন্নয়ন, আবার আর.সি.সি করলেও উন্নয়ন। সুতরাং উন্নয়নের এই ধারা অব্যাহত থাকবে। এই সরকার হাটহাজারীর প্রায় সব হাই স্কুলেই ৪ তলা বিশিষ্ট ভবন দিয়েছেন। দেখা যাচ্ছে ৫ বছর পরে ঐ স্কুলগুলোতে স্থান সংকুলান হবে না, আবার নতুন ভবন দিতে হবে। সুতরাং এটা চলমান প্রক্রিয়া”।
এই সময় তিনি উপজেলার ছিপাতলি ইউনিয়নের ইসলামি হাট বাজার, আলমের কুম, বোয়ালখালীর মুখ, গাউছিয়া মাদ্রাসা, লাল মোহাম্মদের বাড়ি, ঈদগাহ স্কুল, হাজিরখিলের ইত্যাদি এলাকায় গণসংযোগ করেন। পরে বিকালে তিনি ঐ ইউনিয়নের নায়খালী এলাকায় নির্বাচনী অফিস উদ্বোধন করে। সারাদিনের নির্বাচনী প্রচারনায় ঐ ইউনিয়নের ইউ.পি সদস্য-সদস্যাবৃন্দ, জাপা ও আওয়ামী লীগ অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ সহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।