হাটহাজারী প্রতিনিধি: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে লড়তে চট্টগ্রাম-৫ (হাটহাজারী-বায়েজিদ) আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ সালাম। হাটহাজারী থেকে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরে উপজেলা আওয়ামী লীগের ১৪জন দলীয় মনোনয়ন গ্রহন করেন। এর আগে আওয়ামী লীগের মহাজোট থেকে তিনবার ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ নির্বাচন করে এমপি নির্বাচিত হন। যার কারণে স্থানীয় আওয়ামীলীগ দীর্ঘদিন ধরে ক্ষোভ প্রকাশ করেন দলীয় প্রার্থীর জন্য। যার অভ্যন্তরীন কোন্দল ছিল দীর্ঘদিন। যা দ্বাদশ নির্বাচনে দলীয় সভানেত্রীর নির্দেশে দীর্ঘ সমীকরণের পর হাটহাজারীতে দলীয় প্রতীক নৌকার ঘোষণা দেন।
রোববার (২৬ নভেম্বর) বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে নৌকার প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। দলীয় প্রার্থীর নাম ঘোষণা হওয়া মাত্রই উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এড.মোহাম্মদ আলী ও সাধারন সম্পাদক সোহরাব হোসেন চৌধুরী নোমানের নেতৃত্বে রবিবার হাটহাজারি উপজেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগ চট্রগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জননেতা এম এ সালাম নৌকা প্রতীক প্রাপ্ত হওয়ায় অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা দলীয় কার্যালয় থেকে আনন্দ মিছিল বের করে নাজিরহাট খাগড়াছড়ি সড়ক হয়ে বাস-স্টেশন,রাঙ্গামাটি সড়কের কলেজ মোড়,কাচারী সড়ক প্রদক্ষিণ করে আবারো দলীয় কার্যালয় এসে মিছিল শেষ হয়।
১৯৯৬ সালে বর্তমান উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ সালাম নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করলে চার দলীয় জোটের বিএনপি প্রার্থীর কাছে নির্বাচনে পরাজিত হয়। তবে ২০০৮ সালেও দলীয় প্রতীক পেলে মহাজোট গঠন করে জোট প্রার্থী জাতীয় পার্টির ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদকে ঘোষণা দিলে দলীয় সিদ্ধান্তে এম এ সালাম মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেন।
২০০৮,২০১৪ ও২০১৮ তিন জাতীয় নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দল থেকে আর কাউকে নৌকার প্রতীক দেয়া হয়নি। ১৫ বছর পরেই তৃণমূল নেতাকর্মীরা দলীয় প্রার্থী পেয়ে দীর্ঘদিনের চাপাক্ষোভ বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছে আনন্দ মিছিলের মাধ্যমে। এম এ সালাম হাটহাজারী উপজেলার পূর্ব শিকারপুর,রশিদ বাড়ীর মরহুম হাজী আবদুল আজিজ ও মরহুমা লুৎফুন নেসা বেগমের পুত্র।
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে হাটহাজারী থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশা করেন ১৪জন প্রার্থী। তাদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন এম এ সালাম। একটা লম্বা সময় ধরে তিনি আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত। তিনি উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক ৪বার,জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ১বার,২বার প্রশাসাকের দায়িত্ব পালন করেছেন। বর্তমানে উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন।