নিজস্ব প্রতিবেদক: চট্টগ্রামে সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ, চট্টগ্রাম-৬ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরী, সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, সাবেক মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী, চট্টগ্রাম নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন ও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের জামালখান ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শৈবাল দাশ সুমনসহ ২৬৯ জনের নাম উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় আরও ৪০/৫০ জনকে অজ্ঞাত আসামী করা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) নগরীর লালখান বাজারের টাংকির পাড় কালামিয়ার বাড়ীর বাসিন্দা মৃত রমজান অলীর ছেলে মো. দুলাল (৫৬) বাদি হয়ে তার সন্তান মো. ফারুককে (৩২) হত্যার অভিযোগে চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ মডেল থানায় এই মামলাটি দায়ের করেন।
পাঁচলাইশ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সন্তোষ কুমার চাকমা মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার বাদী মো. দুলাল এজাহারে উল্লেখ করেন, আমার ছেলে মো. ফারুক (৩২) পাঁচলাইশ মডেল থানাধীন শুলকবহর এলাকায় একটি ফার্নিচারের দোকানে কাজ করে। ১৬ জুলাই দুপুর অনুমান আড়াইটায় পাঁচলাইশ মডেল থানার মুরাদপুর এন মোহাম্মদ প্লাষ্টিকের বিপরীত পাশে জুমাইরা বিল্ডিংয়ের সামনে আসে। তখন সেখানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের গণতান্ত্রিক শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি চলাকালে ১- ৩নং বিবাদীদের নির্দেশনা ও পরিকল্পনা মোতাবেক ঘটনাস্থলে অপরাপর বিবাদীসহ আরও অজ্ঞাতনামা ৪০/৫০ জন শাটারগান, পিঞ্জল ইত্যাদি প্রাণঘাতি মরণাস্ত্র দিয়ে গুলি চালিয়ে বহু ছাত্র জনতাকে আহত করে।
এসব ঘটনার মধ্যে উল্লেখিত বিবাদীদের গুলিতে একই তারিখ বিকাল অনুমান সাড়ে ৪টায় ঘটনাস্থলে আমার ছেলে মো. ফারুক (৩২) বুকে, পেটে ও রানে গুলিবিদ্ধ হয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তায় পড়ে যায়। এই ঘটনায় আমার ছেলে ছাড়াও বহু পরিচিত ও নিরীহ ছাত্র-ছাত্রীসহ পথচারী জনতা গুরুতর আহত হয়।
উপস্থিত লোকজনসহ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র জনতা গুরুতর আহত অবস্থায় আমার ছেলেকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার মৃত ঘোষণা করে আমার ছেলে মো. ফারুক (৩২) কে ” Brought in Dead H/O Physical Assault” বলিয়া মৃত সনদপত্রে উল্লেখ করেন।
এই অবস্থায় বর্ণিত ১-৩নং বিবাদীদের পরিকল্পনায় ও নির্দেশে অপরাপর বিবাদীরা পরস্পর যোগসাজসে একই উদ্দেশ্য সাধনকল্পে বিস্ফোরণসহ মারাত্মক প্রাণঘাতি অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে আমার ছেলে মো. ফারুককে হত্যা করাসহ অনেক বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আন্দোলনরত অনেক শিক্ষার্থীকে গুলি, দা-কিরিচ ইত্যাদির আঘাতে হত্যা ও গুরুতর আহত করেছে। আমি আমার ছেলেকে দাফন-কাফন সম্পন্ন করে জড়িত থাকা বিবাদীদের নাম-ঠিকানা সংগ্রহ করে থানায় এসে মামলা দায়ের করতে বিলম্ব হয়।
চাটগাঁ নিউজ/এআইকে/এসএ