নিজস্ব প্রতিবেদক: সন্ত্রাসী সাজ্জাদকে গ্রেফতারে পুলিশকে তথ্য সহায়তা দিয়ে এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন তথ্যদাতা এক নারী বিউটিশিয়ান।
এ ঘটনায় বুধবার (১৯ মার্চ) রাতে চট্টগ্রাম নগরের পাঁচলাইশ থানায় মামলা করেছেন তিনি।
এ ব্যাপারে পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সোলাইমান চাটগাঁ নিউজকে বলেন, রুমা আক্তার নামে একজন বাদী হয়ে মামলা করেছেন। মামলায় ১১ জনকে আসামি করা হয়েছে। এ ব্যাপারে তদন্ত চলছে আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছি।
পুলিশ সূত্র জানায়, রুমা আক্তার নামের এক নারী বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেছেন। মামলায় সাজ্জাদের স্ত্রী তামান্না শারমিন, পলাতক সন্ত্রাসী সাজ্জাদ আলী খান, হাবিব খানসহ ১১ জনকে আসামি করা হয়েছে। বাকি আসামিরা হলেন- গ্রেপ্তার সাজ্জাদের সহযোগী মো. রায়হান, মো. হেলাল, মো. হাসান, মো. আরমান, মো. ইমন, মো. বোরহান, মো. রাজু ও মো. দিদার। রুমা আক্তারের বিউটি পার্লার ও বুটিক হাউস রয়েছে।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, গত শনিবার ঢাকায় একটি শপিং মলে কেনাকাটা করতে যান নারী উদ্যোক্তা রুমা আক্তার ও তার স্বামী। সেখানে সাজ্জাদ ও তার স্ত্রীকে দেখতে পান। পুলিশের পুরস্কার ঘোষিত সন্ত্রাসীকে দেখে চিনতে পেরে আশপাশের লোকজনকে জড়ো করে আটক করা হয়। পরে খবর পেয়ে পুলিশ সাজ্জাদকে আটক করে তেজগাঁও থানায় নিয়ে যায়।
মামলার এজাহারে আরও বলা হয়, সাজ্জাদকে ধরিয়ে দেওয়ার পর থেকে তার স্ত্রী তামান্না শারমিন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্নভাবে বাদীকে হত্যার হুমকি দিয়ে আসছেন। এ ছাড়া বিদেশে পলাতক সাজ্জাদ আলী খান ও হাবিব খান মুঠোফোনে বাদীকে ফোন করে হুমকি দিয়েছেন গত মঙ্গলবার। তারা বাদীর কাছে এক কোটি টাকা চাঁদাও দাবি করেন। নইলে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সাজ্জাদের স্ত্রী তামান্না শারমিন বলেন, আমি কারও নাম ধরে হুমকি দিইনি। যারা আমাদের নামে মামলা করেছে তারাই আমাদেরকে মেরে ফেলতে চেয়েছিল। বিষয়টি সম্পর্কে আমি সিপ্লাস টিভিতে স্পষ্ট বক্তব্য দিয়ে এসেছি। কারো আগ্রহ থাকলে সিপ্লাসটিভির সাক্ষাতকারটি দেখতে পারেন।
পুলিশ জানায়, সাজ্জাদ হোসেনের বিরুদ্ধে হত্যা, অস্ত্র ও চাঁদাবাজির ১৭টি মামলা রয়েছে। গত বছরের ১৭ জুলাই চান্দগাঁও থানা-পুলিশ অস্ত্রসহ সাজ্জাদকে গ্রেপ্তার করে। পরের মাসের শুরুতে তিনি জামিনে বেরিয়ে আসেন। বায়েজিদ বোস্তামী থানাসংলগ্ন হাটহাজারীর শিকারপুরের মো. জামালের ছেলে তিনি। গত বছরের ৪ ডিসেম্বর নগরের অক্সিজেন এলাকায় পুলিশ ধরতে গেলে গুলি ছুড়তে ছুড়তে পালিয়ে যান সাজ্জাদ। এতে পুলিশসহ পাঁচজন আহত হওয়ার ঘটনা ঘটে।
চাটগাঁ নিউজ/ইউডি/এসএ