চাটগাঁ নিউজ ডেস্ক : চট্টগ্রাম নগরের ডবলমুরিং থানায় ধর্ষণের চেষ্টা ও পর্নোগ্রাফি মামলায় সৎ ছেলেসহ ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৭।
বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) র্যাবের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমকে বিষয়টি জানানো হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, আবছার উল্লাহ ফারুক (৩২), হাসিনা আক্তার (২৮) ও মো. মুছা প্রকাশ বালু (৩২)।
র্যাব জানায়, ভিকটিম ৩৭ বছরের একজন গৃহিণী ।
স্বামীর মৃত্যুর পর ভিকটিমের সৎ ছেলে আবছার উল্লাহ ফারুকের সঙ্গে জায়গা জমির ভাগ নিয়ে বিরোধ চলে ছিল। বিরোধের জের ধরে সৎ ছেলে প্রায়শই ভিকটিমকে মারধরসহ সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করে। ভিকটিমের সৎ ছেলের অত্যাচারে তিনি তার স্বামীর ওয়ারিশ হিসেবে প্রাপ্ত ভবন ভাড়া দিয়ে তার বাবার বাড়িতে বসবাস শুরু করেন।
গত ৬ সেপ্টেম্বর ভাড়া দেওয়া বাসার কেয়ারটেকার বাসার পানির লাইন নষ্ট হওয়ায় ভাড়াটিয়াদের সমস্যার কথা মোবাইল ফোনে জানালে ভিকটিম পানির লাইন মেরামত করে দেয়ার জন্য তাকে বলেন। ওইদিন মেরামত কাজের বিল পরিশোধ এবং বাসার অন্যান্য সমস্যা দেখার জন্য ভিকটিম পতেঙ্গা থেকে নগরের ডবলমুরিং থানায় তার মৃত স্বামীর বাড়ির ২য় তলায় ভাড়াটিয়ার ঘরে প্রবেশ করে। এ সময় তার সৎ ছেলে আবছার উল্লাহ ফারুকের স্ত্রী ভিকটিমকে টেনে হেঁচড়ে তাদের ঘরে নিয়ে ধাক্কা দিয়ে মেঝেতে ফেলে দেয়। এ সময় সৎ ছেলে আবছার উল্লাহ ফারুক তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করে এবং ফারুকের স্ত্রী ঘরের দরজা বন্ধ করে দিয়ে মোবাইল ফোনে ভিডিও ধারণ শুরু করে। একপর্যায়ে ভিকটিম কৌশলে ওই বাসা থেকে পালিয়ে আসে। পরে এ ঘটনায় ভিকটিম নগরের ডবলমুরিং থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
র্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (গণমাধ্যম) মো. শরীফ-উল-আলম জানান, ডবলমুরিং থানায় সৎ মাকে শ্লীলতাহানি করে ধর্ষণের চেষ্টা ও পর্নোগ্রাফি মামলার আসামি নগরের ডবলমুরিং থানার মতিয়ারপুল কাটা বটগাছ এলাকার একটি বাড়িতে অবস্থান করছে। এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সৎ ছেলে আবছার উল্লাহ ফারুক, হাসিনা আক্তার ও মো. মুছা প্রকাশ বালুকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতরকৃতরা জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন। পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তাদেরকে ডবলমুরিং থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
চাটগাঁ নিউজ/এআইকে