নিজস্ব প্রতিবেদক : ভরা মৌসুমেও লাগামহীন শীতকালীন সবজির বাজার। কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা বেড়েছে শীতকালীন প্রতিটি সবজি। আগের মতোই উচ্চমূল্যে বিক্রি হচ্ছে চাল, আটা, মাছ, ব্রয়লারসহ সব ধরনের মুরগির মাংস, চিনি ও ডাল। দাম বেড়েছে পেঁয়াজেরও। কিন্তু বেড়েছে গরুর মাংসের দাম।
শুক্রবার, ২৬ জানুয়ারি বন্দরনগরী চট্টগ্রামের বিভিন্ন বাজার ঘুরে এবং ক্রেতা এবং বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এতথ্য জানা গেছে।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, এ সপ্তাহে কেজিপ্রতি ১০০ টাকা বেড়ে ৭৫০ টাকা বিক্রি হচ্ছে গরুর মাংস। যা গত সপ্তাহে গরুর মাংস ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। গত সপ্তাহে গরুর কলিজা ৬৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও এ সপ্তাহে কেজিপ্রতি ৪০ টাকা বেড়ে ৭২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি খাসির মাংস কেজি প্রতি ১০৫০-১১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর ২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে ব্রয়লার মুরগি। যা গত সপ্তাহে একই দামে বিক্রি হয়েছে। এসব বাজারে সোনালি, সোনালি হাইব্রিড ও লেয়ার মুরগিও আগের দামে বিক্রি হচ্ছে। বাজারগুলোতে সোনালি ৩০০ টাকা, সোনালি হাইব্রিড ২৯০ টাকা, দেশি মুরগি ৫০০ থেকে ৫২০ টাকা কেজি, লেয়ার মুরগি ৩০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে, নতুন পেঁয়াজ কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে ৯০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। পেঁয়াজ দেশিটা (পুরাতন) ১২০ টাকা এবং ইন্ডিয়ান পেঁয়াজ ১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। যা গত সপ্তাহে নতুন পেঁয়াজ ৭০ টাকা, দেশি (পুরাতন) ১০০ টাকা এবং ইন্ডিয়ান পেঁয়াজ ৯০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছিল।
শীতকালীন সব সবজির দাম কেজিতে বেড়েছে ১০ থেকে ২০ টাকা। তবে নতুন আলুর ৪৫ থেকে ৫০ টাকা করে আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে। বাজারগুলোতে প্রতি কেজি মুলা বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা, শিম ৬০ থেকে ৮০ টাকা, ফুলকপি ৫০ থেকে ৬০ টাকা, বাঁধা কপি ৪০ থেকে ৫০ টাকা, পাকা টমেটো প্রকারভেদে ৬০ থেকে ৮০ টাকা, কাঁচা টমেটো ৫০ টাকা, কচুরমুখী ১০০ টাকা এবং গাজর ৪০ থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া বেগুন ৮০ থেকে ১০০ টাকা, করলা ৮০ টাকা, ঢেঁড়স ১০০ টাকা, বরবটি ১২০ টাকায়, খিরা ৫০ থেকে ৬০ টাকা, শসা ৭০ টাকা, প্রতিটি লাউ বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৯০ টাকা, পেঁপে প্রতি কেজি ৪০ টাকা, লেবুর হালি ২০ থেকে ৪০ টাকা, ধনে পাতা কেজি ১০০ থেকে ১৫০ টাকা, কাঁচা কলা হালি বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকায়, জালি কুমড়া ৫০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া কেজি ৪০ থেকে ৫০ টাকা ও কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়া বাজারগুলোতে লাল শাক ১০ টাকা আঁটি, লাউ শাক ৪০ টাকা, মূলা শাক ১০ থেকে ১৫ টাকা, পালং শাক ১৫ টাকা, কলমি শাক ১০ টাকা আঁটি দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে।
তবে ক্রেতাদের স্বস্তি দিয়েছে মাছের বাজার। বাজার ঘুরে দেখা যায় বেশিরভাগ মাছের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। পাঙ্গাস বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২২০ টাকা কেজি দরে। অনেকটা একই দামে বিক্রি হচ্ছে চাষের কই ও তেলাপিয়া। আকারভেদে রুই-কাতলার দাম হাঁকানো হচ্ছে ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা কেজি এবং চিংড়ি ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। শোল মাছ প্রতি কেজি ৬০০-৬৫০ টাকা এবং শিং মাছ ও বাইলা মাছ প্রতি কেজি প্রকারভেদে ৫০০-৭০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পোয়া মাছ ৩৫০ থেকে ৪০০, পাবদা মাছ ৪০০ থেকে ৪৫০, মলা ৫০০, কাচকি মাছ ৬০০, বাতাসি টেংরা ৯০০, অন্য জাতের টেংরা মাছ ৬০০ থেকে ৭০০, পাঁচ মিশালি মাছ ২২০, রুপচাঁদা ১ হাজার কেজিতে বিক্রি হতে দেখা গেছে।
চাটগাঁ নিউজ/এসএ