আনোয়ারা প্রতিনিধি : সাবেক মন্ত্রী ও সংসদ সদস্য সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ বলেছেন, আমি এই এলাকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত সংসদ সদস্য। সাংবিধানিকভাবে এই এলাকার দায় দায়িত্ব আমার। সব আমার নির্দেশে চলবে। কেউ এসে হস্তক্ষেপ করতে পারবে না। কে কোন বড় পদ পেয়েছে তা আমার দেখার বিষয় নয়৷ সুতরাং কেউ এলাকায় এসে মাস্তানি করলে তা কঠিন হস্তে দমন করা হবে। স্পষ্ট কথা, আমার এলাকায় দ্বৈত শাসন চলবে না।
শুক্রবার (২৯ মার্চ) দুপুরে আনোয়ারা উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে এক অনুষ্ঠানে উপজেলার রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
সাবেক মন্ত্রী আরও বলেন, আমি প্রথম সংসদ নির্বাচিত হওয়ার পর কিছু ব্যক্তিকে দূরে সরিয়ে রেখেছি। এলাকায় মাস্তানি, বিশৃঙ্খলা, থানায় দালালি ও সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচারসহ বিভিন্ন অপকর্মের সাথে জড়িত থাকায় তাদেরকে তাড়িয়ে দিয়েছি। কিন্তু দীর্ঘদিন পর তারা আবার মাথাছাড়া দিয়ে ওঠেছে। তাদেরকে দমন করতে উপজেলা প্রশাসন, ইউএনও ও থানা প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, আমার এলাকায় আর কোনো সভা অনুষ্ঠান করতে দেওয়া হবে না। কেউ রাজনৈতিক অনুষ্ঠান করতে চাইলে একসপ্তাহ আগে উপজেলা প্রশাসন থেকে অনুমতি নিতে হবে। সেটি আমার দলের যেই হোক৷ যদি অমান্য করে অনুষ্ঠান করে তাহলে আইনের আওতায় আনার জন্য থানার ওসিকে নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে।
এর আগে আনোয়ারার কন্যা ওয়াসিকা আয়শা খান এমপি অর্থ প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পাওয়ায় তাকে গত ৭ মার্চ আনোয়ারা ও কর্ণফুলীতে গণসংবর্ধনা দেওয়া হয়৷ এ অনুষ্ঠানে দুই উপজেলার বঞ্চিত ও লাঞ্ছিত তৃণমূল আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা দীর্ঘ ১৫ বছরের তাদের কষ্টের কথা তুলে ধরেন।
পরে ওই অনুষ্ঠানে অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খান এমপি বলেছিলেন, রাজনীতিতে শেষ বলে কিছু নেই। যেখানে শেষ , সেখান থেকে শুরু হবে। আনোয়ারা-কর্ণফুলীর বঞ্চিত নেতাকর্মীদের নিয়েই এগিয়ে যাবেন বলে ঘোষণা দিয়েছিলেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খান এমপি।
এরপর আনোয়ারা-কর্ণফুলী আসনে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে পৃথক মেরুকরণ সৃষ্টি হয়। এ বিষয়ে সাবেক মন্ত্রী ও স্থানীয় সাংসদ সদস্য সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ প্রকাশ্যে কোনো বক্তব্য দেননি। সরাসরি নাম উল্লেখ না করলেও আকার ইঙ্গিতে এই প্রথম তিনি অর্থ প্রতিমন্ত্রী ও তার অনুসারীদের লক্ষ্য করে বক্তব্য দিয়েছেন।
চাটগাঁ নিউজ/এসএ