সৌদি নারী ফুটবল টীম সদস্যদের সাথে প্রফেসর ইউনূসের বৈঠক

সৌদি আরব প্রতিনিধি: সৌদি আরবের জেদ্দায় অনুষ্ঠিত ওয়ার্ল্ড ফুটবল সামিট (#WFS) চলাকালে প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস ইস্টার্ণ ফ্লেমস ফুটবল ক্লাবের প্রেসিডেন্ট মিস মারাম আলবুতাইরির সাথে বৈঠক করেন। ইস্টার্ণ ফ্লেমস ফুটবল ক্লাব সৌদি আরবের প্রথম নারী ফুটবল টীম।

এমন একটি প্রেক্ষাপটে যেখানে নারীদের খেলাধুলাকে উপহাসের চোখে দেখা হয় এবং নারী ক্রীড়াবিদদেরকে বিভিন্ন বাধা-বিপত্তি ও প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হতে হয়, ইস্টার্ণ ফ্লেমস একটি আঞ্চলিক পাওয়ার হাউস হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে যা সৌদি আরবে নারীদের ক্রীড়ার যুগান্তকারী রূপান্তরের একটি প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছে।

ইস্টার্ণ ফ্লেমসের ফুটবলারদের প্রফেসর ইউনূস এই আহ্বান জানান যে, তাঁরা যেন পুরুষ ফুটবলারদের পদাঙ্ক অনুসরণ না করেন এবং তাঁদের এই বিদ্রোহকে খেলাধুলার সকল পর্যায়ে এগিয়ে নিয়ে যান। তাঁরা যেন তাঁদের নিজস্ব ক্রীড়ার সংস্কৃতিকে একবারে শুরু থেকেই সামাজিক ইস্যুগুলির সাথে সমন্বিত করার পন্থা তৈরী করে নেন। তাঁরা তাঁদের ক্লাবগুলিকে মুনাফা সর্বোচ্চকারী ব্যবসা হিসেবে ডিজাইন না করে সামাজিক ব্যবসা হিসেবে ডিজাইন করতে পারেন। তাঁদের ক্লাবের লক্ষ্যগুলিকে তাঁরা পরিস্কার ভাষায় ব্যাখ্যা করতে পারেন – যেমন নারীদের জন্য সমান সামাজিক মর্যাদা নিশ্চিত করা, সকল ইস্যুতে নারীদের প্রেক্ষিতকে সমুন্নত করা, নারীদের জন্য স্বাস্থ্য, নারীদের জন্য ব্যবসা উদ্যোগ, শূন্য-অপচয়কে উৎসাহিত করা, মা, কন্যা ও পিতামহীদের নিয়ে এসে স্টেডিয়াম পূর্ণ করে ফেলা, খেলাধুলার মধ্যে শিল্পকলা, সংস্কুতি এবং সামাজিক ও পরিবশেগত ইস্যুগুলিকে নিয়ে আসা ইত্যাদি। নারীরা খেলাধুলায় আসবেন ব্যক্তিগত আর্থিক সাফল্যের জন্য নয় বরং বিভিন্ন সামাজিক লক্ষ্য অর্জনে নেতৃত্ব দেবার জন্য। খেলোয়াড় হিসেবে তাঁদের সুনির্দিষ্ট সামাজিক মিশন থাকবে। তাঁরা খেলাধুলার মধ্য দিয়ে শিল্পকলা, সংস্কৃতি, সংগীত, শিক্ষা ও নারীর ক্ষমতায়নকে সমন্বিত করবেন।

এই বৈঠকে আরো উপস্থিত ছিলেন ইউনূস স্পোর্টস হাবের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক ইয়োয়ান নোগুয়ের; ওয়াই-ওয়াই ভেঞ্চারস এর প্রতিষ্ঠাতা সজীব এম খাইরুল ইসলাম; ইস্টার্ণ ফ্লেমসের সহ-প্রতিষ্ঠাতা কারিনা চাপা এবং ইস্টার্ণ ফ্লেমস ফুটবল ক্লাবের পেশাদার ফুটবলার এরি।

Scroll to Top