চাটগাঁ নিউজ ডেস্কঃ বাংলাদেশের মালিকানাধীন জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহ সোমালিয়ার দস্যুদের কবলে পড়ার খবর পাওয়া গেছে। ওই জাহাজে ২৩ বাংলাদেশি নাবিক দস্যুদের জিম্মিতে রয়েছেন। তাদের মধ্যে চট্টগ্রামের আনোয়ারা, চন্দনাইশ ও লোহাগড়ার ১১ জন রয়েছেন বলে জানা গেছে। তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত এখনো জানা যায়নি।
মঙ্গলবার (১২ মার্চ) বাংলাদেশ সময় দুপুর ১টা থেকে ২টার মধ্যে দস্যুদের কবলে পড়ে জাহাজটি।
নৌ মন্ত্রণালয় সূত্র থেকে জানা যায়, জাহাজটি কয়লা নিয়ে মোজাম্বিক থেকে দুবাই যাচ্ছিল। মাঝপথে সোমালিয়া থেকে প্রায় ৪৫০ নটিক্যাল মাইল দূরে এডেন উপসাগরে জাহাজটিতে হামলা চালিয়ে নিয়ন্ত্রণ নেয় জলদস্যুরা। প্রায় ১০০ দস্যু দলটির কারো কারো কাছে অস্ত্রও ছিলো। সর্বশেষ পাওয়া খবরে জাহাজের নাবিকরা সুরক্ষিত আছে বলে জানিয়েছে নৌ মন্ত্রণালয়।
ধারনা করা হচ্ছে, জাহাজটি সোমালি জলদস্যু দ্বারা আক্রান্ত হয়েছে এবং জাহাজটিকে সোমালিয়ার কোনো বন্দরের দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। বেশ কয়েক ঘণ্টা অতিবাহিত হলেও এখন পর্যন্ত জলদস্যুদের পক্ষ থেকে জাহাজ মালিকের সঙ্গে কোনো প্রকারের যোগাযোগ করা হয়নি অথবা কোনো দাবি জানানো হয়নি। এসব ক্ষেত্রে সাধারণত জলদস্যুরা জাহাজকে বন্দরের কাছে নিয়ে যায়, তারপর মালিকপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে দাবি জানায়।
এই বিষয়ে বাংলাদেশ মার্চেন্ট মেরিন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. শাখাওয়াত হোসেন জানিয়েছেন, অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে জাহাজ মালিক কর্তৃপক্ষের কথা হয়েছে। তারা জানিয়েছেন, জলদস্যুরা জাহাজের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার বেশ কিছুক্ষণ সময় পরেও জাহাজের মালিক পক্ষ ও তাদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পেরেছিলেন নাবিকরা এবং তারা সবাই সুস্থ আছেন।
এর আগে ২০১০ সালেও একই মালিকানাধীন বাংলাদেশি জাহাজ এমভি জাহান মনি সোমালিয়ান জলদস্যুদের কবলে পড়েছিল। মালিকপক্ষের উদ্যোগে তিন মাস পর ২৬ নাবিকসহ জাহাজটি মুক্ত হয়েছিল।
চাটগাঁ নিউজ/এসবিএন