চাটগাঁ নিউজ ডেস্ক : চোরাচালানের সোনা বহনের অভিযোগে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি উড়োজাহাজ জব্দ করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকালে চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে উড়োজাহাজটির একটি আসনের নিচ থেকে ২ কেজি ৩২০ গ্রাম ওজনের সোনার বার জব্দ করা হয়। এরপরই বিকেলে কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা উড়োজাহাজটি জব্দ করেন।
চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে উড়োজাহাজ জব্দের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. বিল্লাল হোসেন।
এক দশক আগে ঢাকায় চোরাচালানের সোনা বহন করায় দুটি উড়োজাহাজ জব্দ করার নজির রয়েছে।
তিনি জানান, চোরাচালানের স্বর্ণ পরিবহন করায় উড়োজাহাজটিও অভিযুক্ত। তাই স্বর্ণের বারগুলো আটকের পাশাপাশি ফ্লাইট নম্বর বিজি১৪৮ (বোয়িং ৭৭৭-ইআর, রেজি নম্বর এস২-এএফকিউ) উড়োজাহাজটিকেও কাস্টমস আইন ২০২৩ অনুযায়ী আটক করা হয়েছে।
জব্দ করা উড়োজাহাজটি চট্টগ্রামে যাত্রীদের নামিয়ে সকালেই ঢাকার শাহজালাল বিমানবন্দরের উদ্দেশে রওনা হয়। জব্দ অবস্থায় এটি যাত্রী পরিবহনের কাজে ব্যবহার করতে পারবে কি না, জানতে চাইলে কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মো. মিনহাজ উদ্দিন বলেন, যাত্রী পরিবহনের স্বার্থে ন্যায় নির্ণয়কারী কর্মকর্তা চাইলে তিনি বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের জিম্মায় দিতে পারেন।
শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন শেখ আব্দুল্লাহ আলমগীর বলেন, শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিমানের ফ্লাইটে স্বর্ণের বার উদ্ধারের পর প্লেনটি ১০টা ৫২ মিনিটে ঢাকা চলে গেছে।
কাস্টম গোয়েন্দা বিভাগ জানিয়েছে, প্লেনটি কাগজে-কলমে জব্দ করা হয়েছে। এটি বিমানকে জবাবদিহির আওতায় আনার অংশ। কারণ বিমানে সিটের নিচে স্বর্ণ লুকানো যাত্রীর পক্ষে সম্ভব না। এ ঘটনায় বিমানের কেউ ছিল কিনা, বিমানের ভেতরের ক্যামেরার ফুটেজ, সিকিউরিটি ইত্যাদি জবাবদিহির আওতায় আনার জন্য অফিশিয়ালি জব্দ দেখানো হয়েছে। উড়োজাহাজটি যাত্রী পরিবহনে বাধা নেই।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে উড়োজাহাজটি সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। এ সময় জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার (এনএসআই) সহযোগিতায় এই উড়োজাহাজের ‘৯জে’ আসনের নিচ থেকে ২ কোটি ৬০ লাখ টাকা মূল্যের ২ কেজি ৩৩০ গ্রাম ওজনের ২০টি সোনার বার জব্দ করেন কাস্টমস গোয়েন্দা কর্মকর্তারা। এই অভিযানে অংশ নেন বিমানবন্দরের নিরাপত্তা শাখার কর্মীরাও। এ ঘটনায় ওই আসনের যাত্রী আতিয়া সামিয়াকেও গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর বাড়ি রাজশাহীর বোয়ালিয়া থানা এলাকায়। তার বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
চাটগাঁ নিউজ/এসএ