সেন্টমার্টিনে নৌ চলাচল বন্ধ, খাদ্যসংকটে দ্বীপবাসী

কক্সবাজার প্রতিনিধি : মিয়ানমার থেকে গুলিবর্ষণের আতঙ্কে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন রুটে যাত্রী ও পণ্যবাহী সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ রয়েছে। ফলে দ্বীপটিতে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্যের সঙ্কট দেখা দিয়েছে। মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী-বিজিপি নাকি বিদ্রোহীরা এই গুলি চালাচ্ছে তা কেউ নিশ্চিত করতে পারেনি।

প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনে ১০ হাজারের বেশি মানুষের বসবাস। তাদের খাদ্যসহ বিভিন্ন নিত্যপণ্য যায় টেকনাফ থেকে।মানুষ ও পণ্য পরিবহনের একমাত্র মাধ্যম নৌযান। টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌরুটে প্রতিদিনই দ্বীপের বাসিন্দারা যাতায়াত করেন ট্রলারে এবং খাদ্যপণ্য পরিবহনেও ব্যবহৃত হয় ট্রলার।

পর্যটন মৌসুম ছাড়া বছরের বাকি সময় স্থানীয়রাই দ্বীপটিতে থাকেন। তাই দ্বীপটি এখন পর্যটকশূন্য।

মিয়ানমারে চলমান সংঘাত গত ফেব্রুয়ারি মাসে জোরালো হয়। এই সংঘাতের জেরে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌ রুটের নাফ নদীর নাইক্ষ্যংদিয়া পয়েন্টে মিয়ানমার থেকে ছোড়া হচ্ছে গুলি। গত ৫ জুন সেন্টমার্টিন থেকে নির্বাচনী সরঞ্জাম ও কর্মকর্তাদের বহনকারী নৌযানে গুলিবর্ষণ করা হয় মিয়ানমার থেকে। গুলিতে ট্রলারটি ক্ষতিগ্রস্ত হলেও কেউ হতাহত হননি।

এরপর আবার শনিবার ৮ জুন পণ্যবাহী ট্রলারে গুলিবর্ষণ করা হয় মিয়ানমার থেকে। এ ঘটনায় কেউ হতাহত না হলেও ট্রলারটিতে গুলি লাগে সাতটি। এমন পরিস্থিতিতে টেকনাফ-সেন্টমার্টিনে নৌরুটে সব ধরনের নৌ-যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।তাই দেখা দিয়েছে খাদ্য সংকট।

কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শাহিন ইমরান বলেন, এখনো পর্যন্ত তীব্র খাদ্য সংকট দেখা দেয়নি। কিন্তু ব্যবসায়ীরা কৃত্রিম খাদ্য সংকট সৃষ্টি করছে মালামাল ছড়া দামে বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে। সেন্টমার্টিনে খুব দ্রুত খাদ্য সরবরাহ করা হবে বলে তিনি জানিয়েছেন ।

বিজিবির টেকনাফ ২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, ট্রলারে গুলিবর্ষণের ঘটনায় মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপির কাছে প্রতিবাদ লিপি পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। বোটে প্রকাশ্যে গুলি করতে দেখে ট্রলারচালক ও মানুষের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, নৌরুটে ট্রলার নিয়ে যাতায়াত করতে রাজি নয় কেউ। ওই পথ ছাড়া সেন্টমার্টিনে আসার বিকল্প কোনও ব্যবস্থা বা রুটও নেই। টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিন যাওয়ার পথে নাফ নদীর মোহনার শেষে নাইক্ষ্যংদিয়া এলাকা দিয়ে পার হওয়ার সময় মিয়ানমার থেকে দ্বীপে যাতায়াত করা বোটগুলো লক্ষ্য করে গুলি ছোড়া হচ্ছে। এ কারণে প্রাণের ভয়ে মানুষ মালামাল পারাপার করতে চায় না।

চাটগাঁ নিউজ/আছহাব/এআইকে/এসএ

Scroll to Top