চাটগাঁ নিউজ ডেস্ক : টানা দুই ম্যাচ হেরে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ক্রিকেট থেকে বিদায় নিশ্চিত হয়েছে বাংলাদেশের। অস্ট্রেলিয়ার পর ভারতের কাছেও নাস্তানাবুদ হয়েছে টাইগাররা। শনিবার রাতে নর্থ সাউন্ডে অনুষ্ঠিত সুপার এইটে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে ভারতের কাছে ৫০ রানে হেরেছে বাংলাদেশ। নির্ধারিত ২০ ওভারে ভারতের করা ৫ উইকেটে ১৯৬ রানের জবাবে বাংলাদেশ ৮ উইকেটে ১৪৬ রান করে। এই হারে বাংলাদেশের সেমিফাইনালে খেলার সম্ভাবনা শেষ হয়ে গেছে।
এ জয়ের ফলে দুই ম্যাচ থেকে ৪ পয়েন্ট নিয়ে সুপার এইটের গ্রুপ ওয়ানের শীর্ষে উঠে এসেছে ভারত। তাদের সেমিফাইনাল খেলাও নিশ্চিত। এদিকে এক ম্যাচ থেকে দুই পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে অস্ট্রেলিয়া। আফগানিস্তান ও বাংলাদেশের ভান্ডার কোনো পয়েন্ট জমা হয়নি।
১৯৭ রানের বিশাল লক্ষ্যমাত্রায় খেলতে নেমে বাংলাদেশের শুরুটা ছিল ভালো। একের পর এক বল সীমানার বাইরে পাঠাচ্ছিলেন লিটন দাস ও তানজিদ হাসান। কিন্তু মাত্র ১০ বলে শেষ হয়ে যায় লিটনের ইনিংস। ১০ বলে ১৩ রান করেন তিনি। হৃদিক পাণ্ডে এ উইকেট নেন। এরপরেই বাংলাদেশ কুলদ্বীপ যাদবের তোপে পড়ে। একে একে তিনি তিনটি উইকেট নেন। তার শিকারে পরিণত হন তানজিদ হাসান (২৯), তৌহিদ হৃদয় (৪) ও সাকিব আল হাসান (১১)।
একদিকে সতীর্থরা বিদায় নিতে থাকলেও অধিনায়ক শান্ত ছিল স্থির। দারুণ ব্যাটিং করেছেন তিনি। স্কোরবোর্ডে জমা করেছেন ৪০ রান। ৩২ বলে এই রান করতে একটি বাউন্ডারি ও তিনটি ওভার বাউন্ডারি মারেন তিনি। তার বিদায়ের পর বাংলাদেশের ব্যাটাররা শুধু যাওয়া আসার পালায় ছিলেন। তবে ব্যতিক্রম ছিলেন রিশাদ হোসেন। স্বল্প সময় ক্রিজে ছিলেন। কিন্তু ওই সময়টুকুতেই ভারতের বোলারদের নাভিশ্বাস উঠিয়েছিলেন। মাত ১০ বলে ২৪ রান করেছেন, মেরেছেন তিন ওভার বাউন্ডারি ও এক বাউন্ডারি।
এর আগে বাংলাদেশের আমন্ত্রণে ব্যাট হাতে নেমে ভারত রান উৎসব করে। ৫ উইকেটে তাদের সংগ্রহ ১৯৬ রান। এই উৎসবে নাম লেখান অধিনায়ক রোহিত শর্মা (২৩), বিরাট কোহলি (৩৭), ঋষভ পন্ত (৩৬), শিভাম দুবে (৩৪) ও হৃদিক পান্ডে (অপঃ ৫০)।
ব্যাট হাতে শুরুতেই মারমুখী ভূমিকায় ছিলেন ভারতীয় ব্যাটাররা। স্পিনার বা পেসার কাউকে ভারতীয় ব্যাটররা মোটেও সমীহ করেননি। ফলে একের পর এক তারা বলকে সীমানার বাইরে পাঠাতে থাকেন। বল কখনো মাটি ঘেঁষে কখনো বাতাসে ভেসে সীমানা পার হয়েছে। আর তাতেই ভারতের রানের স্কোর বোর্ড রকেট গতিতে ছুটেছে।
ভারতের সবচেয়ে বড় জুটি হয়েছে পঞ্চম উইকেটে। শিভাম দুবে ও হৃদিক পান্ডে এ জুটিতে ৫৩ রান করেন। ৫.৪ ওভারে তারা এ রান করেন। হৃদিক পাণ্ডে ২৭ বলে ৫০ রানে অপরাজিত থাকেন। চারটি বাউন্ডারি ও তিনটি ওভার বাউন্ডারিতে সাজানো ছিল তার ইনিংসটি। তাকে সঙ্গ দেওয়া দুবে করেন ২৪ বলে ৩৪ রান। বাউন্ডারিতে তার যেন অনীহা ছিল, তিনটি ওভার বাউন্ডারি মেরেছেন তিনি।
প্রথম উইকেটে রোহিত শর্মা ও বিরাট কোহলি প্রথম উইকেটে ৩৯ রান করেন। তাদের এই সংগহ মাত্র ৩.৪ ওভারে। রোহিত শর্মা ২৩ রান করতে খেলেছেন মাত্র ১১ বল। তিনটি বাউন্ডারি ও একটি ওভার বাউন্ডারি মেরেছেন তিনি। আর কোহলি যখন আউট হন তখন তার নামের পাশে লেখা হয়েছে ৩৭ রান। একটি বাউন্ডারি ও তিনটি ওভার বাউন্ডারিতে তিনি এই রান করেন।
ঋষভ পন্ত দলের সংগ্রহ সমৃদ্ধ করার পথে যথেষ্ঠ অবদান রেখেছে। ২৪ বলে ৩৬ রান করেন তিনি। চারটি বাউন্ডারির পাশাপাশি দুটো ওভার বাউন্ডারি ছিল তার ইনিংসে।
বাংলাদেশের যে সব বোলার বল হাতে নিয়েছে তারাই হতাশ হয়েছেন। এর মাঝে দুটো করে উইকেট পেয়েছেন তানজিম হাসান সাকিব ও রিশাদ হোসেন। তানজিম ৩২ রানে দুই উইকেট পান। আর রিশাদ ৩ ওভারে দেন ৪৩ রান।
চাটগাঁ নিউজ/ এসআইএস