চাটগাঁ নিউজ ডেস্ক: চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার কিরনগঞ্জ সীমান্তে দিয়ে ঢুকে পড়া ভারতীয়দের ধাওয়া করেছেন স্থানীয় বাংলাদেশিরা। শনিবার (১৮ জানুয়ারি) কিরণগঞ্জ সীমান্তে এই ঘটনা ঘটে। বিকেল সাড়ে তিনটা পর্যন্ত সংঘর্ষ চলছিল। দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী চেষ্টায় এখনও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসেনি।
পরে সেই উত্তেজনা তিন কিলোমিটার এলাকা জুড়ে ছড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষের ঘটনায় দুই বাংলাদেশি আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। আহতরা হলেন- বিনোদপুর ইউনিয়নের ঘন্টোলা বিশ্বনাথপুর গ্রামের জিয়ারুল ইসলামের ছেলে রনি ও কারিগঞ্জ গ্রামের সেরাজুল ইসলামের ছেলে ফারুক।
বাংলাদেশ সীমান্তের স্থানীয়রা জানান, ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) সদস্যরা সীমান্তে নিজ দেশের ৫০০-৬০০ সাধারণ মানুষকে জড়ো করে। এ সময় তারা বাংলাদেশের ভেতরে ঢুকে পড়েন। তারা চৌকা সীমান্তে ৫০টি আম গাছ কেটে ফেলেছে। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে ভারতীয়দের ধাওয়া করেন বাংলাদেশিরা। এতে উভয় দেশের নাগরিকদের মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। এই উত্তেজনা কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণকে কেন্দ্র করে সেই চৌকা সীমান্তেও ছড়িয়ে পড়ে। এর বিস্তৃতি ঘটে সীমান্তের তিন কিলোমিটার পর্যন্ত।
সরেজমিন, ভারতীয় উত্তেজিত জনতাকে বাংলাদেশের জনগণকে লক্ষ্য করে হাত বোমা ছুড়তে দেখা গেছে। বাংলাদেশের সীমান্তবাসীদেরও লাঠিসোটা নিয়ে অবস্থান করতে দেখা গেছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, চৌকা সীমান্ত এলাকায় অন্তত ৫০টি আমগাছ এবং শতাধিক বরই গাছ ভারতীয় জনগণ বাংলাদেশি ভূখণ্ডে ঢুকে কেটে ফেলেছে। কালিগঞ্জ ঘুমটোলা গ্রামের রবু জানান, ফারুক মোটরসাইকেল যোগে সীমান্ত এলাকার পরিস্থিতি দেখার জন্য অবস্থান করা কালে ভারতীয়দের ছোড়া পাথরে মাথায় আঘাত পায়। মিঠুন নামে একজন জানান, সীমান্তের বাঁশ নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকার সময় কয়েকজন বাংলাদেশে ঢুকে তার ওপর আক্রমন করে।
৫৯ বিজিবি ব্যাটেলিয়ানের উপ অধিনায়ক ইমরুল কায়েস ঘটনাস্থলে অবস্থান করছেন এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছেন। তলব করা হয়েছে অতিরিক্ত ফোর্স। অপরদিকে ভারতীয় সীমান্তে অতিরিক্ত বিএসএফের অবস্থান লক্ষ্য করা গেছে।
বিজিবি ব্যাটেলিয়নের অধিনায়ক ৫৯ বিজিবি লেফটেন্যান্ট কর্নেল গোলাম কিবরিয়ার সাথে এ বিষয়ে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি।
চাটগাঁ নিউজ/জেএইচ