সীতাকুণ্ডে কোহিনূর শিপ ইয়ার্ডের স্থাপনা ভেঙে গুড়িয়ে দিয়েছে প্রশাসন

সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি: চট্টগ্রাম সীতাকুণ্ড উপজেলার ফৌজদারহাট এলাকার সমুদ্র উপকুলে গড়ে উঠা একটি পুরাতন জাহাজ ভাঙা কারখানার স্থাপনা বুলডোজার দিয়ে ভেঙে গুড়িয়ে দিয়েছে চট্টগ্রাম প্রশাসন।

বুধবার (২৫ জুন) সকাল ১০টা থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতিতে কোহিনূর স্টিল ইয়ার্ডে উচ্ছেদ অভিযান শুরু করে প্রশাসন।

অভিযানের সময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট আল আমিন হোসেন, নাঈমুল হাসান, সীতাকুণ্ড উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট আবদুল্লাহ আল মামুন।

এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট আল আমিন হোসেন জানান, সীতাকুণ্ড উপজেলার তুলাতুলী মৌজায় শিল্প জোন হিসেবে গেজেট ভোক্ত এলাকা নয়। এটি ১ নং খাস খতিয়ানভুক্ত জায়গা। এখানে যে স্থাপনাটা রয়েছে তা অবৈধ। তাই জেলা প্রশাসকের নির্দেশে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়।

কোহিনূর শিপ ইয়ার্ডের মালিক রাজা কাসেম বলেন, সীতাকুণ্ডে উপকুলে শিল্প মন্ত্রণালয়ের গেজেটে ৭টি মৌজাকে শিল্প জোন ঘোষণা করা হয়। যার একটি হচ্ছে উত্তর সলিমপুর মৌজা। এই মৌজায় আরও দুই দশক আগে থেকে বেশ কয়েকটি জাহাজভাঙা কারখানা চলমান রয়েছে। এ অবস্থায় কোহিনুর স্টিল শিপ ইয়ার্ড স্থাপন করা হয়েছে। এই মৌজা থেকে ৫ একর জমি দেখে শুনে বুঝে আইনগত প্রক্রিয়া শেষে ইজারা দিয়েছে জেলা প্রশাসন। এটা সলিমপুর মৌজা।

২০২২ সালে সরকারি নীতিমালার আলোকে লিজ নেয়া হয়। ইজারাতে শর্ত ছিল গ্রিন শিপইয়ার্ড করা বাধ্যতামূলক। গ্রিন শিপ ইয়ার্ড নির্মাণকল্পে বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণ করা হয়। নীতিমালার আলোকে বর্জ্য ব্যবস্থাপনাসহ বিভিন্ন অত্যাবশ্যকীয় স্থাপনা তৈরি করা হয়। উক্ত ভবন নির্মাণের বিষয়ে হাইকোর্ট বিভাগের উচ্চ আদালতে মামলা চলমান রয়েছে। কিন্তু এ মামলাকে উপেক্ষা করে কিভাবে জোর করে ভাঙ্গা হয় তা আমার বোধগম্য নয়। বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে পদক্ষেপ গ্রহণ করা জরুরী। অবৈধভাবে ভাঙ্গার বিষয়ে উচ্চ আদালতে শরণাপন্ন হবেন বলে জানান তিনি।

চাটগাঁ নিউজ/কামরুল/এমকেএন

Scroll to Top