নিজস্ব প্রতিবেদকঃ আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নির্বাচনী কাজে সরকারি গাড়ি ব্যাবহার করে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করার অভিযোগ উঠেছে সীতাকুণ্ড উপজেলার ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জয়নব বিবি জুলির বিরুদ্ধে। এই বিষয়ে এক বিবৃতিতে জয়নব বিবি জুলি বলেন, গত এক মাস আগে তিনি ভারপ্রাপ্ত উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ পান। নির্বাচনী কাজে সরকারি গাড়ি ব্যবহার করা আচরণবিধি লঙ্ঘন, সেটা জানতেন না তিনি। জানলে তিনি নির্বাচনী কাজে সরকারি গাড়ি ব্যবহার করতেন না। ভবিষ্যতে এই ধরনের ভুল আর হবে না।
এই মর্মে মুচলেকা দিয়ে আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায় থেকে মুক্তি পেলেন সীতাকুণ্ড উপজেলার ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জয়নব বিবি জুলি। সীতাকুণ্ড উপজেলা সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কে.এম রফিকুল ইসলামের কার্যালয়ে হাজির হয়ে এই মুচলেকা দেন তিনি।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) বিকেলে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী এস.এম আল মামুনের পক্ষে প্রচারণার সময় সরকারি গাড়ি ব্যবহার করেন উপজেলা (ভারপ্রাপ্ত) চেয়ারম্যান জয়নব বিবি জুলি। এতে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে জাতীয় পার্টির পক্ষ থেকে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ দেওয়া হয়। অভিযোগের প্রেক্ষিতে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের কারণে উপজেলা ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জয়নব বিবিকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়।
এছাড়াও সোমবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে সীতাকুণ্ড প্রেস ক্লাবে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে চট্টগ্রাম-৪ (সীতাকুণ্ড ও চট্টগ্রাম নগরের আংশিক) আসনের আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী এস.এম আল মামুন বলেন, নির্বাচনী প্রচারণার প্রথম দিন থেকেই নেতাকর্মীদেরকে আচরণবিধি লঙ্ঘনের ব্যাপারে হুঁশিয়ার করে দেন তিনি। অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ একটি নির্বাচন হবে সীতাকুণ্ডে। এছাড়াও সরকারি গাড়ি কিংবা কর্মীকে নিয়ে নির্বাচনী প্রচারে গেলে আচরণবিধি লঙ্ঘিত হয়, তা সবাই জানেন। কেউ যদি ইচ্ছা করে নৌকার ব্যানার-পোস্টার হাতে নিয়ে আচরণবিধি ভঙ্গ করেন, তার দায় আওয়ামী লীগ কিংবা নৌকা প্রতীকের নয়। তিনি আরো বলেন, মনে হয় নৌকার প্রার্থীকে বেকায়দায় ফেলার জন্য উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে তিনি এই কাজ করেছেন।
উপজেলা সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কে.এম রফিকুল ইসলাম (ইউএনও) বলেন, লিখিত মুচলেকা নিয়ে এবারের জন্য তাকে অভিযোগ থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। দ্বিতীয়বার এই ধরনের অপরাধ করলে আইনের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে তাকে।