সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি: চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার বারৈয়ারঢালা পাহাড়ি এলাকায় অবস্থিত সহস্রধারা ঝর্ণায় ডুবে এক কিশোরের মৃত্যু হয়েছে।
শনিবার (১৪ জুন) সন্ধ্যা ৬টার দিকে উপজেলার বারৈয়াঢালা ইউনিয়নের ছোটদারোগারহাট লবনাক্ষ পাহাড়ে সহস্রধারা ঝর্ণায় পায়ের কাদা পরিষ্কার করতে নেমে এ দুর্ঘটনাটি ঘটে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা নিহত কিশোর তাহসিন আনোয়ারের (১৭) মরদেহটি উদ্ধার করে।
নিহত তাহসিন কেইপিজেডের প্রকৌশলী মোহাম্মদ আনোয়ার কবিরের একমাত্র ছেলে। মা লুৎফর নাহার জীবন বীমা কর্পোরেশনের উপসচিব ও জিএম। তারা চট্টগ্রাম ডিওএইচএস এলাকায় থাকলেও তাদের বাড়ি নোয়াখালীর লক্ষিপুর থানার পাঁচপাড়া চন্দ্রগঞ্জ এলাকায়।
জানা গেছে, আজ শনিবার দুপুরে সীতাকুণ্ডের পাহাড় ভ্রমণে যায় তাহসিন। সঙ্গে ছিল তার ৬ বন্ধু নাফিস , কফিল, ফাহিম, সুমিত, ইবরার ও আহাদ। তারা সবাই চট্টগ্রাম ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজের ছাত্র। সদ্য তারা এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছিল। মা বাবাকে না জানিয়েই বন্ধুদের নিয়ে বেড়াতে গিয়েছিল তাহসিন।
তাহসিনের বন্ধু ফাহিম জানান, পাহাড়ি এলাকায় ঘোরাঘুরির একপর্যায়ে ফেরার পথে তাহসিনের পায়ে কাদা আটকে যায়। এ সময় সহস্রধারায় দায়িত্বে থাকা কয়েকজনের কাছে তারা জানতে চায় ঝর্ণায় নেমে কাদা মাটি ধোয়া যাবে কি না। এতে কোন সমস্যা নেই জানালে তাহসিন ঝর্ণায় পানিতে নেমে পা ধোয়ার সময় পা পিছলে গভীরে পড়ে যায়। এ সময় আমরা তাকে বাঁচাতে উপস্থিত দায়িত্বরতদের সহযোগিতা চাইলেও কেউ এগিয়ে না এসে তা দেখতে থাকে। একপর্যায়ে তাহসিন ডুবে যায়। তৎক্ষণাৎ দায়িত্বরতরা যদি সহযোগিতায় এগিয়ে আসতো তাহলে তাহসিনের মৃত্যু হতো না বলে জানান বন্ধুরা।
সীতাকুন্ড ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র কর্মকর্তা মচিন্দ্র লাল ত্রিপুরা বলেন, খবর পেয়ে সন্ধ্যা ৬টার দিকে ঝর্ণার পানির ৩০ ফিট গভীর থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়। লাশ থানা পুলিশকে হস্তান্তর করা হয়েছে।
সীতাকুণ্ড উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফখরুল ইসলাম বলেন, তাহসিনের মরদেহ পরিবারকে দেওয়ার পক্রিয়া চলছে। এই মৃত্যুর পিছনে সহস্রধারা ঝর্ণার কর্মকর্তা বা কর্মচারীদের কোন গাফিলতি থাকলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
চাটগাঁ নিউজ/কামরুল/জেএইচ