নিজস্ব প্রতিবেদক: চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) রাজস্ব খাতের কর্মচারী কর্তৃক অথরাইজড বিভাগের নকশা অনুমোদনের ফরম বিক্রি বাবদ ২ হাজার ও কল্যাণ ফান্ডের ২০ টাকা রাজস্ব খাতে জমা না দিয়ে পূবালী ব্যাংকের ভুয়া সীল স্বাক্ষর জাল করে ৪ বছর যাবৎ কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে। যাদের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ তারা হলেন-ডেসপাস শাখায় অবৈধভাবে কর্মরত শাহfদাৎ হোসেন ও অথরাইজড শাখার পিয়ন আবদুল হাই।
গত (২৮ আগস্ট) অথরাইজড শাখা-১ এ নকশা অনুমোদনের জন্য জমা হওয়া প্রায় ৪৭টি বিসি কেইচ নথির মধ্যে ৪৬টি নথির ব্যাংকে জমা করা টাকার স্লিপ জাল। যারা এই নকশা অনুমোদনের জন্য টাকা দিয়েছে তারা এই জাল এবং ভুয়া সীল দেখে হতবাক হয়ে পড়ে।
সিডিএ সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, একই ভাবে ভূমি ব্যবহার ছাড় পত্রের জন্য জমা দেওয়া শত শত নথির ব্যাংক স্লিপ জাল হওয়ায় সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ভুমি ব্যবহার ছাড়পত্র অনুমোদন আপাতত বন্ধ করে দিয়েছে। ডেসপাস ও অথরাইজড শাখার কর্মচারীরা এই জালজালিয়fতির সাথে সরাসরি জড়িত বলে জানা গেছে।
সিডিএ’র সিবি এর কর্মকর্তারা জানান, সরকারী রাজস্ব আত্মসাৎকারীদের বিরুদ্ধে যথাযথ সুষ্ঠ তদন্তের মাধ্যমে চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদানের জন্য সংশ্লিষ্ঠ কর্তৃপক্ষের নিকট তারা অনুরোধ জানিয়েছেন।
তারা আরো বলেন, এ ধরণের জঘন্য অপরাধ সিডিএর জম্মলগ্ন থেকে কখনো হয়নি। তাদের সাথে আরো বেশ কয়েকজন বহিরাগত লোক সিন্ডিকেট করে অপকর্ম ও জালজালিয়াতিতে জড়িত রয়েছে বলে সূত্রে প্রকাশ করা হয। যাহা নিরপেক্ষ তদন্ত কমিটির মাধ্যমে তদন্ত করলে কারা দোষী সেটা বের হয়ে আসবে।
এদিকে সংবাদ মাধ্যমে এই ঘটনা প্রকাশ হওয়ায় চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ’র প্রধান প্রকৌশলী কাজী হাসান বিন শামস চউক’র সচিবের নিকট লিখিত দরখাস্তে সরকারী রাজস্ব আত্মসাৎকারীদের বিরুদ্ধে যথাযথ সুষ্ঠ তদন্তের মাধ্যমে চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদানের জন্য আবেদন করেন।