সারাদেশে আরও ৫০০ কমিউনিটি ক্লিনিক তৈরির পরিকল্পনা

চাটগাঁ নিউজ ডেস্ক : দেশের সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে সারাদেশে কমিউনিটি ক্লিনিকের সংখ্যা বাড়ানোর পরিকল্পনা করেছে সরকার। নতুন করে আরও ৫০০টি কমিউনিটি ক্লিনিক নির্মাণ বা স্থানান্তরের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।

বুধবার (২০ আগস্ট) দুপুরে বাংলাদেশ চিকিৎসা গবেষণা পরিষদের (বিএমআরসি) সভাকক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্য সহায়তা ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আক্তারুজ্জামান।

তিনি বলেন, ‘জাইকার অর্থায়ন অর্থায়নে আরও ৫০০টি নতুন ক্লিনিক আমরা স্থাপন করতে পারব। এই মুহূর্তে আমরা দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে আবেদন নিচ্ছি। যারা জমি দিতে আগ্রহী, তারা যদি নোটারি করা ৩০০ টাকার স্ট্যাম্পে আন্ডারটেকিং দেন, আমরা তাদের আবেদনকে অগ্রাধিকার দিয়ে লিস্ট করছি। জমি পাওয়া গেলে দ্রুত সেই এলাকায় নতুন কমিউনিটি ক্লিনিক গড়ে তোলা হবে।’

আক্তারুজ্জামান বলেন, ‘আমরা ১২০ কোটি টাকার ওষুধ কিনেছি। আরও ২০০ কোটি টাকার ওষুধ ক্রয় করা হবে। ৯৫ শতাংশ কমিউনিটি ক্লিনিক খুবই ভালো চলছে। কমিউনিটি ক্লিনিকের ওষুধ বাইরে বিক্রি করার সুযোগ নাই। যদি কেউ এটা করেও থাকে তাহলে আমরা তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিব।’

কমিউনিটি ক্লিনিকে কর্মরত অনেকেই বেতন পাচ্ছে না- এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বর্তমানে দেশে মোট ১৪ হাজার ৪৬৭টি কমিউনিটি ক্লিনিক কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এর মধ্যে সিএইচসিপির সংখ্যা ১৩ হাজার ৯২৩ জন। ৬৩৪ জন ১৪ মাস ধরে বেতন পাচ্ছে না, এই ঘটনা সত্যি। আমাদের একটা ভুলের জন্য এমনটা হয়েছে। দ্রুত আমরা এই সমস্যাটি সমাধান করার চেষ্টা করছি। এছাড়া, কমিউনিটি ক্লিনিকে কর্মরতদের ওয়ার্ড ভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হয়। এ জন্য বাইরে থেকে ম্যাটস পাস করা কাউকে নিয়োগ দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।’

৩০ মিনিট দূরত্বে তৈরি কমিউনিটি ক্লিনিকে কর্মরতদের জন্য ৫০০টির অধিক মোটরসাইকেল দরকার আছে কিনা- প্রশ্নে তিনি আরও বলেন, ‘আমরা পায়ে হাঁটার ৩০ মিনিট দূরত্বের মধ্যে একটি করে কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন করবো। এখানে যারা কাজ করবে তাদের জন্য আপাতত ৫০০টির কিছু বেশি মোটরসাইকেল দেওয়া হবে। কারণ, ৩০ মিনিটের দূরত্ব হলেও যারা কাজ করবে তাদের মানুষের বাড়ি বাড়ি যেতে হতে পারে এবং উপজেলায় মিটিংয়ে পৌঁছাতেও তাদের সময় কম লাগবে।’

ট্রাস্টের মাঠ প্রশাসনের পরিচালক আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘কমিউনিটি ক্লিনিকে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হবে সৌরশক্তির মাধ্যমে। ভবিষ্যতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স বা উচ্চতর স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত করে টেলিমেডিসিন সেবা চালু করা হবে, যাতে দূরবর্তী এলাকার মানুষ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সেবা পেতে পারেন। একইসঙ্গে স্থানীয় ব্যবস্থাপনায় দেশীয় অ্যাম্বুলেন্স সেবাও চালু করা হবে।’

চাটগাঁ নিউজ/এসএ

Scroll to Top