সাব-রেজিষ্ট্রারের দুর্নীতি নিয়ে সংবাদ সম্মেলন

চন্দনাইশ প্রতিনিধি: চন্দনাইশ উপজেলার গাছবাড়ীয়ার সাব রেজিষ্ট্রার শর্মি পালিতের দুর্নীতির প্রতিবাদে এক সংবাদ সম্মেলন করে ভুক্তভোগীর পরিবার। সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী নুরুল আবছার বলেন, শর্মি পালিতের দূনীর্তির সঠিক তদন্তের জন্য দুদুকসহ সংশ্লিষ্ট প্রশসানের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

শনিবার (২৭ জানুয়ারী) সকাল ১১টায় গাছবাড়ীয়াস্থ ভুক্তভোগীর বাসভবনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মোঃ হারুন।

লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, বিগত ১৯৮১ সালের ৩০ নভেম্বর ভুক্তভোগীর দাদী জরিমন খাতুনের মালিকানা পশ্চিম ধোপাছড়ি মৌজার ২.৯২ একর সম্পত্তি তার চাচা আবদুল গফুর সওদাগরের রেজিঃকৃত ৩৫৩৬ নং দানপত্র মূলে হস্তান্তর করেন। পরবর্তীতে ভুক্তভোগীর চাচার আবদুল গফুর সওদাগর পুনরায় বিগত  ১৯৮৩ সালের ৩০ নভেম্বর রেজিঃকৃত ৪৪০৪ নং দলিল মূলে তার দাদী জরিমন খাতুনকে উক্ত ২.৯২ একর সম্পত্তি ফেরত প্রদান করিয়া স্বত্বচ্যুত হন।

তবে তার চাচা আবদুল গফুর সওদাগর উক্ত সম্পত্তি পুনরায় ফেরত প্রদানের তথ্য গোপন করে পূর্বের দানপত্র দলিল মূলে তার নামে নামজারী বিএস ৫৮০ নং খতিয়ান সৃজন করে। পরবর্তীতে ভুক্তভোগী জানতে পেরে চন্দনাইশ উপজেলা ভূমি সহকারী কর্মকর্তা বরাবরে অভিযোগ দিলে উক্ত বিএস নামজারী সৃজিত খতিয়ান ২০২০ সালের ১৪ অক্টোবর বাতিল করেন।

পরে তার চাচা আমার চাচা আবদুল গফুর সওদাগর উক্ত খতিয়ান বাতিলের তথ্য গোপন করে গাছবাড়ীয়া সাব রেজিষ্ট্রি অফিসের দুর্নীতিবাজ সাব রেজিস্ট্রার শর্মি পালিতকে ১ লক্ষ ৬০ হাজার ও দোহাজারী ভূমি অফিসের তহসিলদার মোঃ নাসির কে ৩০ হাজার টাকা ঘুষ দিয়ে বাতিল খতিয়ানের খাজনা আদায় দেখিয়ে সাব রেজিষ্ট্রার শর্মি পালিত এর সহযোগীতায় আবদুল গফুরের ৩ পুত্রের নামে হেবার ঘোষণাপত্র দলিল মূলে ফেরবী দলিল সৃজন করে।

এ ঘটনা ভুক্তভোগী জানতে পেরে সাব রেজিষ্ট্রার শর্মি পালিতের কাছ থেকে জানতে চাইলে শর্মিত পাল ক্ষুব্দ হয়ে তার মালিকানাধীন ভবনের অফিসটি চুক্তি মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ বলে জেলা সাব রেজিষ্ট্রার বরাবরে চিঠি ইস্যু করে ভবনের ৭ লক্ষ টাকা বকেয়া রেখে তাদের অফিসটি অন্যত্র সরিয়ে নেয়। যার ফলে তিনি আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়।

এসময় ভুক্তভোগী সদস্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, মো. সাইফুদ্দীন ফারুকী, রবিউল ইসলাম, রফিকুল ইসলাম ও মো. ফারুক।

 

চাটগাঁ নিউজ/এমএসআই

Scroll to Top