চাটগাঁ নিউজ ডেস্ক: গত বছরের আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে পতিত স্বৈরাচার শেখ হাসিনার সরকারের সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদাকে জুতার মালা পরিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে বিক্ষুব্ধ জনতা।
আজ রোববার (২২ জুন) সন্ধ্যার দিকে রাজধানীর উত্তরায় স্থানীয় লোকজন তাকে আটক করে। পরে তাকে একদল যুবক জুতোর মালা পরিয়ে দেয়। কেউ কেউ আবার জুতাপেটাও করে সাবেক এই সিইসিকে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উত্তরা বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মইদুল ইসলাম জানান— কিছু লোক উত্তরা ৫ নম্বর সেক্টরে সাবেক সিইসির ভাড়া বাসা ঘেরাও করে রেখেছিল। পরে তার নিরাপত্তার জন্য পুলিশ পাঠিয়ে তাকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
নুরুল হুদার বিরুদ্ধে শেরে বাংলা থানায় মামলা থাকায় তাকে শেরে বাংলা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
জানা গেছে, নুরুল হুদা ২০১৭ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ২০২২ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সিইসি ছিলেন। তার নেতৃত্বে থাকা কমিশনের অধীনে ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ওই নির্বাচনে আগের রাতেই ব্যালট বাক্স ভরে ফেলার অভিযোগ ছিল, যে জন্য সেটি ‘নিশি রাতের ভোট’ হিসেবে আলোচিত।
ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগের ১৬ বছরের শাসনামলে নির্বাচনে জালিয়াতির অভিযোগে রোববার দুপুরে ২৪ জনের নামে মামলা করেছে বিএনপি। এতে শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিব উদ্দিন আহমেদ, সাবেক সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়ালের পাশাপাশি সাবেক সিইসিকে এম নুরুল হুদাকেও আসামি করা হয়েছে।
এই মামলার অন্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন উল্লিখিত সিইসিদের কমিশনের বেশিরভাগ নির্বাচন কমিশনার, সাবেক আইজিপি হাসান মাহমুদ খন্দকার, সাবেক আইজিপি জাবেদ পাটোয়ারী, সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ, সাবেক আইজিপি এ কে এম শহীদুল হক, সাবেক এসবি প্রধান মো. মনিরুল ইসলাম।
শেরে বাংলা নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইমাউল হক বলেন— আগে যেসব নির্বাচন কমিশনে কর্মকর্তারা ছিলেন, অভিযোগকারীর দৃষ্টিতে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান থাকা সত্ত্বেও, তারা সে সময় ভয়-ভীতি দেখিয়ে ভোট সম্পন্ন করেন এবং জনগণের ভোট ছাড়া প্রার্থীদের বিজয়ী করেন। সংসদ সদস্যদের বিজয়ী ঘোষণা করা অভিযোগকারীদের দৃষ্টিতে দণ্ডনীয় ছিল, সে সমস্ত অপরাধের ফিরিস্তি নিয়ে ২৪ জনকে আসামি করে অভিযোগ দায়ের করেছে।
চাটগাঁ নিউজ/জেএইচ