নিজস্ব প্রতিবেদক : তিন কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে চট্টগ্রাম সিটির সাবেক মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরীসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের হয়েছে।
সোমবার (৭ অক্টোবর) চট্টগ্রাম মহানগর হাকিমের আদালতে মামলাটি করেন কৃষক দলের কেন্দ্রীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক এম সাইফুদ্দিন সৈয়দ। তিনি জেলার বোয়ালখালী উপজেলার বাসিন্দা।
মামলার আসামিরা হলেন- সাবেক মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী, তার মেয়ে সাবিহা তাসনিম তানিম, ভাই নুরুল করিম চৌধুরী, নিকটাত্মীয় মাহমুদুর রহমান চৌধুরী, টিপু রহমান এবং নজরুল ইসলাম অপু।
বাদী পক্ষের আইনজীবী সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী গণমাধ্যমকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে গত বছর (২০২৩) বাদীকে হত্যা ও লাশ গুমের ভয় দেখিয়ে তার একটি সম্পত্তি জোরপূর্বক বিক্রি ও প্রতিশ্রুতি মতো তিন কোটি ১৩ লাখ টাকা নির্ধারিত সময়ে পরিশোধ না করে আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে।
এজাহারে অভিযোগ করা হয়েছে, বহদ্দারহাটে (বাদী) তিনি কেনা জায়গায় কিছু দোকানঘর তৈরি করে ভাড়া দিয়ে আসছিলেন। এ সময় মামলার দুই আসামি মাহমুদুর রহমান চৌধুরী ও টিপু রহমান দোকানঘর ভাড়া নিয়ে সময়মতো টাকা পরিশোধ করা থেকে বিরত থাকেন।
২০২০ সালে রেজাউল করিম চৌধুরী মেয়র হওয়ার পর বাদীর কাছে তফসিলভুক্ত জায়গাটি বিক্রি করে দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়। এতে রাজি না হওয়ায় মেয়র বাদীর ওপর ক্ষিপ্ত হন। বাদী জায়গাটিতে মার্কেট নির্মাণের পরিকল্পনার কথা জানান। এসময় মেয়র বাদীকে তার জায়গা ছেড়ে না দিলে মেরে লাশ গুম করার হুমকি দেন।
এরপর ২০২৩ সালে ১৪ আগস্ট বাদী তার বর্তমান বাসা থেকে কর্মস্থলের উদ্দেশ্যে বের হলে আসামিরা তাকে গাড়িতে তুলে চান্দগাঁও সাব রেজিস্ট্রি অফিসে নিয়ে যান। সেখানে তাকে মেরে ফেলার ভয় দেখিয়ে জোরপূর্বক তার তফসিলভুক্ত সম্পত্তির সাব বিক্রয় কবলা দলিলে দস্তখত আদায় করেন।
এ সময় ৮৭ লাখ টাকার তিনটি পে-অর্ডারের মূল কপি বাদীকে দিয়ে বাকি তিন কোটি ১৩ লাখ টাকার পে অর্ডার এক মাস পর দেওয়া হবে বলে জানায়। পরে নির্ধারিত সময়ে টাইগারপাস চসিক অফিসে গিয়ে মেয়রের কাছে বাকি টাকা চাইতে গেলে তিনি লেনদেনের কথা অস্বীকার করার পাশাপাশি বাদীকে অফিস থেকে বের করে দেন।
বাদী আরও অভিযোগ করেন, গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর মানুষের জীবনযাত্রা স্বাভাবিক হয়। এ জন্য অপরাধীদের বিরুদ্ধে মামলা মোকদ্দমা করার ক্ষেত্রে তার কোনো ভয়ভীতি নেই।
চাটগাঁ নিউজ/উজ্জ্বল/এসএ