সাবেক ভূমিমন্ত্রী জাবেদের অর্থপাচার, দুই এজেন্টের আদালতে স্বীকারোক্তি

চাটগাঁ নিউজ ডেস্ক : ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক (ইউসিবিএল) থেকে ২৫ কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের মামলায় সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদের দুই এজেন্ট আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

বাংলাদেশ থেকে দুবাই ও যুক্তরাজ্যসহ বিভিন্ন দেশে অর্থপাচারে এজেন্ট হিসেবে কাজ করা উৎপল পাল এবং দেশের সম্পদ দেখাশোনার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো.আবদুল আজিজ আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন।

সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এস এম আলাউদ্দিন মাহমুদের আদালতে স্বীকার করে এই জবানবন্দি দেন তারা।

এর আগে গত ১৮ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ ইব্রাহীম খলিল আদালত তাদের ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছিলেন।

আদালতে জবানবন্দি দেওয়া দুই আসামি হলেন- আরামিট থাই অ্যালুমিনিয়াম লিমিটেড এজিএম আব্দুল আজিজ ও আরামিট পিএলসি’র এজিএম উৎপল পাল।

দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট মোকাররম হোসাইন বলেন, ইউসিবিএল ব্যাংক থেকে ২৫ কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের ঘটনায় দুদকের মামলায় রিমান্ডে থাকা উৎপল পাল ও মো.আবদুল আজিজ আদালতে ১৬৪ ধারায় দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন।

এদিকে গত ২০ সেপ্টেম্বর রাতে রাতভর কর্ণফুলী থানাধীন চরলক্ষ্যা শিকলবাহা এলাকায় অভিযান চালিয়ে জাবেদের স্ত্রী রুখমিলা জামানের গাড়িচালক ইলিয়াসের প্রতিবেশি ওসমানের বাড়ি থেকে ২৩ বস্তা নথি উদ্ধার করা হয়। সাইফুজ্জামান চৌধুরীর নামে-বেনামে আরও পাঁচ দেশে সম্পদের খোঁজ পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

ভারত, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, ফিলিপাইন ও কম্বোডিয়ায় তার সম্পদ অর্জনের রেকর্ড উদ্ধার করেছে দুদকের নেতৃত্বাধীন বিশেষ টাস্কফোর্স। এসব দেশে সম্পদ কেনার তথ্য, ট্যাক্সের কাগজ, বাড়ি ভাড়ার ভাউচারসহ বিভিন্ন ধরনের তথ্য পাওয়া গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, কয়েক হাজার কোটি টাকার সম্পদের তথ্য এসব নথিতে আছে, যা সাইফুজ্জামান চৌধুরীর ট্যাক্স ফাইলে দেখানো হয়নি।

এর আগে যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, দুবাই ও সিঙ্গাপুরে সাইফুজ্জামানের ৫৮২টি বাড়ি ও ফ্ল্যাটের প্রমাণ পায় দুদক। গত ২১ সেপ্টেম্বর সিনিয়র চট্টগ্রাম মহানগর স্পেশাল জজ (ভারপ্রাপ্ত) মো.আবদুর রহমানের আদালত সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ এবং তার স্ত্রী রুকমিলা জামানের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের রেড নোটিশ জারির জন্য দুদকের আবেদন মঞ্জুর করেছিলেন। গত ১৮ সেপ্টেম্বর একই আদালতে রেড নোটিশ জারির আবেদন করা হয়েছিল।

চাটগাঁ নিউজ/এসএ

Scroll to Top