চাটগাঁ নিউজ ডেস্ক : রাউজানের সাবেক সংসদ সদস্য এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী (৬৫) সহ ৪৩ জনের নাম উল্লেখ মামলা করেছে মুনিরীয়া যুব তবলীগ কমিটি বাংলাদেশে
১০৩ নম্বর দলইনগর-নোয়াজিষপুর শাখা (এবাদত খানা) ভাঙচুরের ঘটনায় সংগঠনের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আলাউদ্দিন (৩২) এ মামলা দায়ের করেন।
রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদ হোসেন মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, গতকাল শুক্রবার মামলা হয়েছে। আমি ছুটিতে আছি তাই বিস্তারিত বলতে পারছি না।ওসি তদন্ত বিস্তারিত বলতে পারবে।
রাউজান থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি তদন্ত) সিদ্দিকুর রহমান। সাবেক সাংসদ ফজলে করিম ছাড়াও মামলার উল্লেখযোগ্য আসামমিরা হলেন, সাবেক পৌর মেয়র জমির উদ্দিন পারভেজ (৪৫), সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান একেএম এহেছানুল হায়দর চৌধুরী বাবুল ওরফে ঘি বাবুল (৬০), সাংসদপুত্র ফারাজ করিম চৌধুরী (৩৫), সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম বাশি (৫২), জাকির হোসেন জুনু (৪৫), ফখরুল আবেদীন সোহেল (৪০), সাইদুল ইসলাম মনছুর ওরফে বালু মনছুর, (৪৮) মো. আজম (৩৯), মো. কুতুব উদ্দিন (৩৫), এসনাদুল করিম সায়েম (২৭), মো. সিরাজ (৪২), মো. নেজাম (৩৪), উত্তম চৌধুরী (৫০), শিহাবুল আলম সাহাবু (৪৫), জাগির (৩২), খোরশেদ (৩৫), কামরুল ইসলমা বাকের (৪৮), আবু সালেক (৩৫), আবুল হায়াত ওরফে মিজান (৪৫), সালাউদ্দিন (৪৩), বখতেয়ার (৪৫), মো. জাগির (৪০), হাবিব (৪৫), সেহেল ওরফে ট্যারা সোহেল (৪৩), শাবলু (৩০), শামসুল আলম (৫৫), মো. বখতিয়ার (৫২), মো. ওয়াহেদুল আলম পলাশ (২৯), আহসান হাবীব হাসান (৩৮), আবদুল্লাহ আল মাসুদ (৪০), কাজী মো. ইকবাল (৪৫), বশির উদ্দিন খান (৫০), নজরুল ইসলাম চৌধুরী (৫০) , মো. আরিফ (৪০), আনোয়ার হোসেন (৪০), আকতার হোসেন (৪০), ফরহাদুল ইসলাম (৩৮), আবদুল্লাহ আল মামুন (৪০), জসিম উদ্দিন (৪৫), কাজী ওহাব (৫৫), শাহাজান ইকবাল (৪৫), মো. হাসান (২৮)।
এছাড়া আরও ২০-২৫ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা করা হয়েছে।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০১৯ সালের ৩০ এপ্রিল বিকাল ৪টায় দেশীয় পিস্তল, দেশীয় ধারালো অস্ত্র, হকিস্টিক, চাইনিজ কুড়াল ইত্যাদি নিয়ে মুনিরীয়া যুব তবলীগ কমিটির অনুসারীদের উপর হামলা চালিয়ে জখম করা হয়।
পরে মাহফিলের জন্য রাখা ৩ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা ও এতিম শিক্ষার্থীদের জন্য উত্তোলিত দানবক্স থেকে ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা লুট করে। এছাড়া এতিমখানার তিনটি এসি, একটি ল্যাপটপ, একটি কালার প্রিন্টার, তিনটি আলমিরা, আইপিএস, সাউন্ড সিস্টেমসহ প্রায় ৮ লক্ষ টাকার বিভিন্ন সরঞ্জাম লুট করে ট্রাকযোগে নিয়ে যায়।
এছাড়া ৫ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা দামের লোহা, সিমেন্টসহ বিভিন্ন নির্মাণ সামগ্রী নিয়ে যাওয়া হয়। এছাড়া ইবাদতখানার কাচসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম ভেঙে প্রায় দেড় লাখ টাকা ক্ষতি, এতিমখানা ভবন ভেঙে প্রায় ১ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা ক্ষতিসাধন করে ভবনের বিভিন্ন নির্মাণ সামগ্রী নিয়ে যায়।
একই সঙ্গে ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা দামের একটি গরু নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ আনা হয়। ঘটনার পর মামলা করতে গেলে ক্ষমতাশীল হওয়ায় সেসময় মামলা নেয়নি বলে দাবি করা হয়।
চাটগাঁ নিউজ/এসআইএস