সাপের কামড়ে মৃত্যুর হার কমাতে সর্বজনীন অ্যান্টিভেনম আবিস্কার

চাটগাঁ নিউজ ডেস্কঃ বিশ্বে প্রতি বছর বিষধর সাপের কামড়ে মৃত্যু হয় প্রায় ১ লাখ ৩৮ হাজার মানুষ। সাপে কামড়ালেও তার জন্য সঠিক অ্যান্টিভেনম না পাওয়ায় এই মৃত্যুহারের কারণ। তবে এবার এই সমস্যা সমাধানে গোখরা, শঙ্খিনী ও ব্ল্যাক মাম্বার মতো বিষধর সাপের সর্বজনীন অ্যান্টিভেনম তৈরি করছেন গবেষকরা।

যুক্তরাষ্ট্রের স্ক্রিপস রিসার্চ ইনস্টিটিউটের ইমিউনোলজি অ্যান্ড মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের প্রধান গবেষক আইরিন এস খালেক ও তার সহকর্মীরা সর্বজনীন অ্যান্টিভেনম তৈরির ক্ষেত্রে সাফল্য পেয়েছেন বলে দাবি করেছেন। গবেষণাপত্রটি সম্প্রতি সায়েন্স ট্রান্সলেশন মেডিসিন জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। এই অ্যান্টিভেনম যেকোনো বিষধর সাপের বিষের প্রভাবকে প্রশমিত করতে সহায়তা করতে পারে। তাই এটিকে ‘সর্বজনীন অ্যান্টিভেনম’ বলা হচ্ছে।

সাপের বিষের মধ্য সবচেয়ে প্রাণঘাতী হলো নিউরোটক্সিন। আফ্রিকান ব্ল্যাক মাম্বা, এশিয়ান কেউটে, বিভিন্ন জাতের গোখরা এবং ভারতীয় উপমহাদেশে প্রাপ্ত বিশ্বের সবচেয়ে মারাত্মক বিষধর শঙ্খিনী সাপের নিউরোটক্সিন পাওয়া যায়। আর নিউরোটক্সিন মস্তিষ্ক থেকে সংকেত বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গের পেশিতে পৌঁছাতে বাধা দেয়। ফলে মানুষ পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়, শরীর অবশ হয়ে আসে। এই বিষ মানুষের ফুসফুসের অনৈচ্ছিক পেশিকেও অবশ করে দেয়। ফলে ফুসফুসের সংকোচন–প্রসারণ থেমে গিয়ে দ্রুত শ্বাসবন্ধ হয়ে মানুষ মারা যায়।

নতুন অ্যান্টিভেনমটি ইঁদুরের ওপর পরীক্ষা চালানো হয়েছে। এক্ষেত্রে প্রথম ইঁদুরের শরীরে সাপের বিষ ঢুকিয়ে দেয়া হয়। পরে নতুন অ্যান্টিভেনম প্রয়োগের ফলে ইঁদুরকে পক্ষাঘাতগ্রস্ত হওয়া থেকে রক্ষা করে ও বাঁচিয়ে দেয়। প্রতিবার পরীক্ষায় একই ফলাফল পাওয়া গেছে। এই ফলাফল একটি সর্বজনীন অ্যান্টিভেনম বিকাশের সম্ভাবনা তৈরি করেছে।

চাটগাঁ নিউজ/এসবিএন

Scroll to Top