ক্রীড়া ডেস্ক: দীর্ঘদিন ধরে জাতীয় দলের বাইরে থাকা সাকিব আল হাসানের ভবিষ্যৎ নিয়ে আবারও আলোচনায় শুরু হয়েছে। সম্প্রতি গ্লোবাল সুপার লিগে দুবাই ক্যাপিটালসের হয়ে ম্যাচসেরা পারফরম্যান্সের পর নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে—সাকিব কি আবার বাংলাদেশের জার্সিতে মাঠে নামবেন?
এ প্রসঙ্গে আজ সোমবার বিকেলে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি আমিনুল ইসলাম জানান, সাকিব এখনো সব ফরম্যাট থেকে অবসর নেননি, তাই সম্ভাবনা পুরোপুরি উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। আমিনুল বলেন, ‘সাকিব তো অ্যাভেইলেবল ক্রিকেটার তার সঙ্গে কথা বলব। এরপর আমরা সিদ্ধান্ত নেব।’
গত বছর আগস্টে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর সাকিব দেশে ফেরেননি। তবে এরপর অক্টোবরে ভারতের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে খেলেছিলেন এবং জানিয়েছিলেন, সাদা পোশাকে বিদায়ের জন্য মিরপুরে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ম্যাচটিকে বেছে নিতে চান। একই সঙ্গে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেই হয়তো তার শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলে ফেলেছেন বলেও জানান, যদিও দলের প্রয়োজনে আবারও ফিরতে রাজি থাকার ইঙ্গিত দেন।
ওই সময় তিনি একবার দেশে ফিরলেও নিরাপত্তা শঙ্কায় আবার যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে যান। এরপর চোট ও বোলিং অ্যাকশন সংশোধনের পর পাকিস্তান সুপার লিগ দিয়ে মাঠে ফেরেন। বর্তমানে গ্লোবাল সুপার লিগে দুবাই ক্যাপিটালসের হয়ে খেলছেন তিনি।
প্রথম ম্যাচেই নিজের পুরনো রূপে দেখা দেন সাকিব—৩৭ বলে ৫৮ রান ও ৪ ওভারে মাত্র ১৩ রানে ৪ উইকেট। তবে পরের দুটি ম্যাচে ছিলেন বিবর্ণ—৭ ও ৪ রানে আউট হন এবং বল হাতে কোনো সাফল্য পাননি।
সাকিবের জাতীয় দলে ফেরার বিষয়ে বিসিবির মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান ইফতেখার রহমান এর আগেই বলেছিলেন, তার জন্য দলের দরজা খোলা। আজ বিসিবি সভাপতি আমিনুলও সেই কথারই পুনরাবৃত্তি করেন।
তবে রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও ব্যক্তিগত মামলা তাকে জটিলতায় ফেলেছে। চেক জালিয়াতির মামলায় তার নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও জারি হয়েছে। এসব কারণে জাতীয় দলে তার ফেরা নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়েছে বলে মনে করছেন অনেকে।
সাকিবের সঙ্গে শেষবার কবে কথা হয়েছে জানতে চাইলে আমিনুল বলেন, ‘আমার সঙ্গে বেশ কিছুদিন ধরে যোগাযোগ হয়নি। বিসিবি সভাপতির দায়িত্ব নেওয়ার পরও কোনো যোগাযোগ হয়নি।’
এখন দেখার বিষয়, বিসিবির সঙ্গে আলোচনার পর কী সিদ্ধান্ত আসে এবং সাকিব আদৌ দেশের হয়ে আর মাঠে নামতে পারবেন কি না।
চাটগাঁ নিউজ/জেএইচ