ক্রীড়া ডেস্ক: গত আট মাস হলো জাতীয় দলের বাইরে সাকিব আল হাসান। তিনি টি-টোয়েন্টি থেকে অবসর নিলেও এখনও টেস্ট আর ওয়ানডে ক্রিকেট খেলার আগ্রহ প্রকাশ করছেন।
কিন্তু আওয়ামী লীগের পতনের পর সাকিব আল হাসানকে একটি হত্যা মামলার আসামি করা হয়। যে কারণে গ্রেফতার আতঙ্কে যুক্তরাষ্ট্রে পরিবারের সঙ্গে থাকছেন সাকিব। দেশে না ফেরায় তার জাতীয় দলেও ফেরা হচ্ছে না।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল জানিয়েছেন, সাকিবকে জাতীয় দলে ফিরতে হলে আগে দেশে আসতে হবে।
একটি টেলিভিশন চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বুলবুল বলেছেন, ‘সাকিব আল হাসান বাংলাদেশের ক্রিকেটার, সে সব ফরম্যাটে রিটায়ার্ড করেনি, তাই সে অ্যাভেইলেবল। ক্রিকেটার হিসেবে তাকে দলে আনতে হলে আমি তো পারবো না। সেটার জন্যে সিলেকশন টিম আছে। সিলেকশন টিম যদি মনে করে সাকিবের ফিটনেস ঠিক আছে, তবে সাকিব খেলতে পারে। সাকিব এখন দেশে নাই, যদি দেশে থাকে তখন সিলেক্টররা চিন্তা করতে পারবে। সাকিবকে প্রথমে দেশে আসতে হবে বা দেশে থাকতে হবে, তারপর বিসিবি সেটা নিয়ে চিন্তা করতে পারে।’
গত বছরের আগস্টে রাজনৈতিক পট পরির্তনের পর থেকে আর দেশে ফেরেননি ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য সাকিব আল হাসান। তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা হয়েছে। মাঝে দেশের মাটিতে টেস্ট খেলে সাদা পোশাকের ক্রিকেট থেকে বিদায় জানাতে চেয়েছিলেন। কিন্তু ‘নিরাপত্তার অভাবে’ সাকিবের সেই ইচ্ছা পূরণ হয়নি।
সম্প্রতি সাকিবকে বাংলাদেশ দলের বিদেশের মাঠে অনুষ্ঠিত ক্রিকেট ম্যাচে খেলার কথা শোনা গিয়েছিল। কিন্তু এবার বিসিবি সভাপতি বললেন ভিন্ন কথা। তিনি জানিয়েছেন, সাকিবকে জাতীয় দলে ফিরতে হলে আগে দেশে ফিরতে হবে। তারপর তার ফিটনেস দেখে নির্বাচকরা যদি মনে করেন তাহলে দলে রাখবেন।
চাটগাঁ নিউজ/এমকেএন