চাটগাঁ নিউজ ডেস্ক: চট্টগ্রাম-৭ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হাছান মাহমুদ প্রতীক নেওয়ার পর নির্বাচনি প্রচার- প্রচারণা শুরু করেছেন সাইকেল চালিয়ে।
সোমবার বিকালে ইছাখালীতে রাঙ্গুনিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের সামনে থেকে সাইকেল চালিয়ে তার নির্বাচনি প্রচার শুরু হয়।
সেখান থেকে চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়ক দিয়ে মরিয়মনগর চৌমুহনী গিয়ে পথসভার মধ্য দিয়ে শেষ হয় তার প্রথম দিনের প্রচার।
পথসভায় হাছান মাহমুদ বলেন, “আজকে নির্বাচন নিয়ে জনগণের মাঝে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা তৈরি হয়েছে। নির্বাচন নিয়ে বিএনপিসহ দেশে-বিদেশে যারা ষড়যন্ত্র করেছিল তারা বেলুনের মত ঠুস করে চুপসে গেছে।
“এখন শক্তিশালী ভিটামিন ট্যাবলেট দিয়েও বিএনপিকে দাঁড় করানো যাচ্ছে না। ইনশাআল্লাহ ৭ জানুয়ারি ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে নির্বাচন হবে, সারা দেশের মত এই রাঙ্গুনিয়াতেও হাজার হাজার, লক্ষ লক্ষ মানুষ নিয়ে আমরা সবাই ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট দেব।”
নির্বাচন নিয়ে যারা ‘ষড়যন্ত্র’ করেছিল, তারা এখন ‘গর্তের মধ্যে’ ঢুকেছে এবং বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীও ‘গর্তের ভেতর’ ডুকেছে বলে মন্তব্য করেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, “যখন ইঁদুরকে দৌড়ানো হয়, ইঁদুর তখন গর্তের মধ্যে ঢোকে। জনগণ বিএনপিকে ধাওয়া করেছে, জনগণের দৌড়ানি খেয়ে গর্তের মধ্যে ডুকেছে।
“আপনারা যারা ইঁদুর ধাওয়া করেছেন তারা জানেন, ইঁদুর গর্তের ভিতর ঢুকে চোখ মেলে মেলে তাকায়। এখন বিএনপির রিজভী আহমেদ গর্তের ভিতর থেকে চোখ মেলে মেলে তাকায় আর কর্মসূচি ঘোষণা করে।”
হাছান মাহমুদ বলেন, “বিএনপির কর্মসূচি হচ্ছে গাড়ি ঘোড়া পোড়ানো। গাড়ি পোড়ানো কোনো রাজনৈতিক দলের কর্মসূচি হতে পারে না। যারা গাড়ি-ঘোড়া পোড়ায় তাদেরকে আমরা বর্জন করি, তাদেরকে জনগণও বর্জন করেছে।
“এই নির্বাচন যাতে অনুষ্ঠিত না হয়, সেজন্য অনেক ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল। বিএনপি-জামায়াত মনে করেছিল, আমরা নির্বাচন করতে পারব না। এখন তারা বুঝতে পেরেছে, সমস্ত প্রতিকূলতাকে উপড়ে ফেলে দেশে একটি অংশগ্রহণমূলক জনগণের ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।”
নির্বাচনী এলাকার জনগণের উদ্দেশ্যে হাছান বলেন, “আমি প্রতিবারই আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছি, কিন্তু নির্বাচিত হবার পর আমি সব মত-পথের মানুষের এমপি হিসেবে কাজ করার চেষ্টা করেছি, কে কোন দলের সেটি কখনো দেখি নাই। আমার কাছে যিনিই গেছেন, আমি কাউকে নিরাশ করি নাই।
“গত ১৫ বছর ধরে আমার দুয়ার সব মানুষের জন্য খোলা ছিল। এখন আমি আপনাদের দুয়ারে হাজির হয়েছি, আপনাদের কাছে আমার বিনীত ফরিয়াদ, আপনারা দয়া করে আমার জন্য আপনাদের দুয়ারটি খুলে দিবেন।”
তিনি বলেন, “বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আজকে সারাদেশে অভাবনীয় উন্নয়ন হয়েছে। দেশের অনেক উপজেলার চেয়ে বেশি উন্নয়ন আমাদের রাঙ্গুনিয়া উপজেলা ও বোয়ালখালী অংশে হয়েছে। জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাকে মনোনয়ন না দিলে আপনারা আমাকে ভোট দিতে পারতেন না। আপনারা আমাকে নির্বাচিত করেছেন, তিনি আমাকে মন্ত্রীর দায়িত্ব দিয়েছেন।
“সেই দায়িত্বে থাকার কারণে আমার পক্ষে এখানে উন্নয়ন করা সম্ভবপর হয়েছে, অন্যথায় এত উন্নয়ন করা সম্ভবপর হত না। আপনাদের সেই ভালবাসার প্রতিদান আমি দেওয়ার চেষ্টা করেছি।”
অন্যদের মধ্যে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর নির্বাচন পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান ও উপজেলা চেয়ারম্যান স্বজন কুমার তালুকদার, উত্তরজেলা আওয়ামী লীগ নেতা আবুল কাশেম চিশতি, মো. শাহজাহান সিকদার, কামরুল ইসলাম চৌধুরী, নজরুল ইসলাম তালুকদার, মুহাম্মদ আলী শাহ, ইফতেখার হোসেন বাবুল, আকতার হোসেন খান, নির্বাচনী পরিচালনা কমিটির সচিব ইঞ্জিনিয়ার শামসুল আলম তালুকদার, গিয়াস উদ্দিন খান স্বপন এসময় উপস্থিত ছিলেন।