সরকার নাকি আমাকে আর রাখতে চাইছে না: বিসিবি সভাপতি

​স্পোর্টস ডেস্ক: শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর বিসিবির শীর্ষ পদেও আসে পরিবর্তন। নাজমুল হাসান পাপনের জায়গায় দায়িত্ব গ্রহণ করেন সাবেক ক্রিকেটার ফারুক আহমেদ। তবে সম্প্রতি গুঞ্জন ছড়িয়েছে, বিসিবির সভাপতি হিসেবে আর থাকছেন না ফারুক। এবার ফারুক নিজেই নিশ্চিত করলেন, পদত্যাগ করছেন না তিনি।

মূলত, গতকাল রাতে যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টাই ফারুককে জানান, সরকার এই পদে আর তাকে রাখতে চায় না। এ নিয়ে সময় চান বিসিবি সভাপতি। পরে বিষয়টি নিয়ে ফারুক বলেন, ‘আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি পদত্যাগ করব না। আমাকে বলা হয়েছে, সরকার নাকি আমাকে আর বিসিবি সভাপতি হিসেবে রাখতে চাইছে না। কিন্তু কেন রাখতে চাইছে না, সেটার কোনো কারণ তারা আমাকে বলেনি। বিনা কারণে তো আমি পদত্যাগ করতে পারি না।’

দেশের শীর্ষস্থানীয় সংবাদমাধ্যম প্রথম আলো একটি বিশ্বস্ত সূত্রের বরাতে জানিয়েছে, গত রাতে যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়ার বাসভবনে তার সঙ্গে দেখা করেছেন ফারুক। যেখানে ক্রীড়া উপদেষ্টা আলোচনায় ফারুককে বিসিবির শীর্ষ পদে পরিবর্তন আনতে চাচ্ছেন বলে বার্তা দিয়েছেন।

তার সঙ্গে সংবাদমাধ্যমটি মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে ক্রীড়া উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাতের বিষয়টি তিনি নিশ্চিত করেছেন। কিন্তু কী বিষয়ে আলোচনা হয়েছে, সে ব্যাপারে তিনি কিছু বলেননি।

গত বছরের ৫ আগস্ট দেশে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর নাজমুল হাসানের বোর্ডে থাকা জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি) মনোনীত দুই পরিচালক জালাল ইউনুস ও আহমেদ সাজ্জাদুল আলমকে সরিয়ে দেওয়া হয়।

সেই দুই পরিচালকের পরিবর্তে জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক ও সাবেক প্রধান নির্বাচক ফারুক আহমেদ এবং ক্রিকেট কোচ ও বিশ্লেষক নাজমূল আবেদীনকে এনএসসি তাদের নতুন পরিচালক হিসেবে মনোনয়ন দেয়। এরপর পরিচালকদের ভোটে বিসিবি সভাপতি নির্বাচিত হন ফারুক। এর আগে বোর্ড সভাপতির পদ থেকে পদত্যাগ করেন নাজমুল হাসান।

ক্রিকেট বোর্ডে সরকারি হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে যেহেতু আইসিসির অবস্থান কঠোর, সরকার চাইলেই বিসিবির পরিচালনা পর্ষদে পরিবর্তন আনতে পারে না। বিসিবির পরিচালক এবং সভাপতিকেও হতে হয় নির্বাচিত।

ফারুক এনএসসি মনোনীত পরিচালক হওয়ায় সে মনোনয়নে এনএসসি হয়তো পরিবর্তন আনতে পারে, কিন্তু তিনি যেহেতু এখন নির্বাচিত সভাপতি; স্বেচ্ছায় পদত্যাগ না করলে সরকার তাকে সরিয়ে দিতে পারে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন আছে।

বাংলাদেশের ক্রিকেটকেই অবশ্য সে রকম কোনো সিদ্ধান্ত সংকটে ফেলতে পারে। কেননা এর আগে জিম্বাবুয়ে ও শ্রীলঙ্কা ক্রিকেটকে সরকারি হস্তক্ষেপের মাশুল দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিষেধাজ্ঞা কাটাতে হয়েছিল।

ফারুক আহমেদ যদি নিজ থেকে সরে দাঁড়ান, তাহলে ভিন্ন কথা। একটি সূত্রে জানা গেছে, বিষয়টি নিয়ে চিন্তাভাবনা করার জন্য দু–এক দিন সময় চেয়েছেন ফারুক। পদত্যাগ করলে খুব দ্রুতই তিনি তা করবেন।

চাটগাঁ নিউজ/এমকেএন

Scroll to Top