চাটগাঁ নিউজ ডেস্ক: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে রাজনৈতিক দলগুলোকে কোনো ধরনের সভা-সমাবেশের অনুমতি না দিতে পুলিশ মহাপরিদর্শককে (আইজিপি) চিঠি দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের রাজনৈতিক শাখা। বুধবার জননিরাপত্তা বিভাগের রাজনৈতিক শাখা-৬-এর সিনিয়র সহকারী সচিব হাবিবুল হাসান আইজিপিকে এই চিঠি পাঠিয়েছেন।
তবে সরকারের অনুমতি নিয়ে শান্তিপূর্ণ সভা-সমাবেশে আপত্তি নেই বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আলমগীর।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে আইজিপিকে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ আগামী বছরের ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে।
আগামী ১৮ ডিসেম্বর থেকে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণা শুরু হবে। ১৮ ডিসেম্বর থেকে ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা ব্যতীত নির্বাচনী কাজে বাধা হতে পারে বা ভোটাররা ভোট প্রদানে নিরুৎসাহিত হতে পারে, এমন কোনো সভা-সমাবেশ বা অন্য কোনো প্রকার রাজনৈতিক কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা থেকে সবাইকে বিরত রাখার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্বাচন কমিশন থেকে অনুরোধ করা হয়েছে। এ অবস্থায় ইসির অনুরোধ বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।
সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, ইসির পক্ষ থেকে সংসদ নির্বাচনের প্রচার-প্রচারণা চলাকালে সব রাজনৈতিক কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা থেকে সব দলকে বিরত রাখতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবকে নির্দেশনা দেওয়া হয়।
নির্বাচন বর্জনকারী দলগুলোর ভোট বিরোধী আন্দোলন কর্মসূচি জনমনে আতঙ্কের সৃষ্টি হতে পারে, এই আশঙ্কায় ইসি সচিবালয়ের উপসচিব মো. আতিয়ার রহমান স্বাক্ষরিত এসংক্রান্ত চিঠি গত মঙ্গলবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিবকে পাঠানো হয়। যা নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়।
এ বিষয়ে বুধবার রাতে নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন ইসি মো. আলমগীর। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ইসি মো. আলমগীর বলেন, ‘নির্বাচনী আচরণবিধি বা গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে বলা হয়েছে নির্বাচনে যদি কেউ বাধা দেয় বা প্রতিহত করে তাহলে আইন অনুযায়ী এটা অপরাধ।
আমরা সেই পরিপ্রেক্ষিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়েছি। এ রকম কোনো রাজনৈতিক দল যদি কর্মসূচি দিয়ে থাকে সেটা করা যাবে না। শান্তিপূর্ণ সভা-সমাবেশ তারা করতে পারবে।’
শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি করার যদি অনুমতি না দেয় তাহলে সেটা মানবাধিকার লঙ্ঘন কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে আমাদের কোনো নিষেধাজ্ঞা নাই। আমাদের কথা হলো সভা-সমাবেশ করতে হলে সরকারের অনুমতি নিতে হয়।
সে ক্ষেত্রে তারা সরকারের অনুমতি নেবে। সরকার যেখানে অনুমতি দেবে, সে বিষয়ে আমাদের কোনো বক্তব্য নেই। আমাদের বক্তব্য হলো যদি নির্বাচন বাধা সংক্রান্ত কোনো সভা-সমাবেশ আন্দোলন কর্মসূচি থাকে, সেটাকে যেন অনুমতি না দেওয়া হয়।’