চাটগাঁ নিউজ ডেস্ক: প্রশিক্ষণ নেয়ার জন্য ভারতে যাওয়া হচ্ছে না অধস্তন আদালতের ৫০ জন বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তার। রোববার (৫ জানুয়ারি) এ সংক্রান্ত অনুমতি দিয়ে জারি করা প্রজ্ঞাপনটি বাতিল করেছে আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
ভারতের ভোপালে অবস্থিত ন্যাশনাল জুডিসিয়াল একাডেমি এবং স্টেট জুডিসিয়াল একাডেমিতে প্রশিক্ষণ নিতে অধস্তন আদালতের ৫০ জন বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাকে গত ৩০ ডিসেম্বর অনুমতি দেওয়া হয়। সুপ্রিম কোর্টের পরামর্শের পরিপ্রেক্ষিতে এ অনুমতি দেয় আইন মন্ত্রণালয়।
রোববার ভারতে প্রশিক্ষণের অনুমতি বাতিল করে আইন মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগ থেকে নতুন করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। প্রশিক্ষণের জন্য সহকারী জজ, সিনিয়র সহকারী জজ, যুগ্ম-জেলা ও দায়রা জজ, অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ, জেলা ও দায়রা জজ এবং সমপর্যায়ের কর্মকর্তাদের মনোনয়ন দেওয়া হয়। বিচার বিভাগীয় এসব কর্মকর্তা ১০ থেকে ২০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত প্রশিক্ষণে অংশ নেওয়ার কথা ছিল। পরে বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ পরিবেশিত হলে সমালোচিত হয় মন্ত্রণালয়টি। পরে আজ রোববার প্রজ্ঞাপনটি বাতিল করতে বাধ্য হয় আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
জানা গেছে, ২০১৭ সালের এপ্রিলে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরে বাংলাদেশের বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ ও সামর্থ্য বাড়ানোর লক্ষ্যে বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্ট এবং ভারতের ন্যাশনাল জুডিসিয়াল একাডেমির মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়।
ওই সমঝোতা স্মারকের পর একই বছরের ২৯ জুলাই এক অনুষ্ঠানে তৎকালীন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা বলেছিলেন, পৃথিবীর প্রত্যেকটা দেশে উচ্চ আদালতের বিচারকদের জন্য ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা আছে। ভারতের প্রত্যেকটা রাজ্যে একটি জুডিসিয়ারি ট্রেনিং ইনস্টিটিউট আছে উচ্চ আদালতের বিচারকদের ট্রেনিংয়ের জন্য। ভোপালে তাদের জাতীয় জুডিসিয়ারি একাডেমি আছে। সেখানে আমাদের ১৫ থেকে ১৬শ বিচারকের ট্রেনিংয়ের জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছি।
এরপর প্রথমবারের মতো ওই বছরের ১০ অক্টোবর থেকে ২৪ অক্টোবর পর্যন্ত প্রশিক্ষণ নিতে ভারতে যান বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তারা। এরইমধ্যে পর্যায়ক্রমে অনেক বিচারক এ প্রশিক্ষণ নিয়েছেন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
চাটগাঁ নিউজ/জেএইচ