চাটগাঁ নিউজ ডেস্ক : বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চট্টগ্রামের সমন্বয়ক ভুয়া পরিচয়ে ফয়’স লেকের একটি আবাসিক হোটেলে চাঁদাবাজি করতে গেলে ছাত্র-জনতা ১১ জনকে আটক করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে।
বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) রাতে নগরের জাকির হোসেন রোডে ফয়’স লেকের একটি আবাসিক হোটেলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র নামধারী ভূয়া কিছু লোক ঢুকে মারধরসহ লুটপাট করার অভিযোগে সেনাবাহিনী, পুলিশ ও জনতার হাতে আটক হয়েছেন তারা।
গ্রেপ্তাররা হলো, আইমান দোভাষ, ইরফান হোসেন, হাসনাত উল্লাহ, অরণ্য ঘোষ, ওমর ফারুক, ফয়সাল চৌধুরী, আরমান হোসেন, সাঈদ আদনান, শুভ আহমেদ, শাহরিয়ার হান্নান ও সাকিব খান। গ্রেপ্তার আসামিদের মধ্যে ৬ জন নগরের কাট্টলী মোস্তফা হাকিম ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থী ও কয়েকজন বেসরকারি প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী (ড্রপ আউট)।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চট্টগ্রামের সম্বনয়ক এসব দৃস্কৃতকারী তাদের কেউ নয় বলে নিশ্চিত করেন।
মামলার এজাহারে বাদী হোটেল মালিক মো.নজরুল ইসলাম এজাহারে উল্লেখ করেন, নগরের খুলশী থানার জাকির হোসেন রোডের প্যাসিফিক গেস্ট হাউস নামের একটি আবাসিক হোটেলে বুধবার রাত আটটার দিকে গ্রেপ্তার আইমান দোভাষের নেতৃত্বে ১০ থেকে ১২ আসেন। হোটেল মালিককে খুঁজতে থাকেন তারা, সেখানে অবৈধ কার্যকলাপ চলছে বলে চাঁদা দাবি করে। কিন্তু মালিক নজরুল ইসলাম সেই সময় হোটেলে ছিলেন না, তখন তিনি নগরের একটি বেসরকারি ডায়গনিস্টিক সেন্টারে ছিলেন। পরে ভবনের তৃতীয় তলায় হোটেল মালিকের পরিবার থাকেন। সেখানে গিয়ে ভাঙচুর করে টাকা-স্বর্ণালংকার নিয়ে যায় এবং লুটপাট চালায়। পরে পার্শ্ববর্তী আরেকটি হোটেলে যায় তারা। ইতোমধ্যে এ খবর ছড়িয়ে পড়লে ছাত্র জনতা এসে তাদের ঘেরাও করে ফেলেন।
খুলশী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কবিরুল ইসলাম জানান, ভুয়া পরিচয়ে চাঁদা আদায় করতে গিয়ে গ্রেপ্তার হয়েছেন ১১ জন। তাদের হোটেল মালিকের করা মামলায় বৃহস্পতিবার (আজ) আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। মামলায় ১২ জনকে আসামি করা হলেও একজন পলাতক রয়েছেন। তাকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
চাটগাঁ নিউজ/এআইকে