সন্দ্বীপ প্রতিনিধি : ‘যুদ্ধবিমান যখন বিধ্বস্ত হয় তখন শৌচাগারে ছিল নাবিল। বিকট শব্দ শুনেই শৌচাগার থেকে দ্রুত বেরিয়ে আসে। চোখের পলকেই ঘটে যায় দুর্ঘটনা। আগুনের গোলা এসে ঝলসে দেয় নাবিলের শরীর। ’। রাজধানীর উত্তরায় যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ইংরেজি ভার্সনের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র নাবিল হাসানের আহত হওয়ার বিষয়ে এভাবেই বর্ণনা দিয়েছেন তার বোন নাসরিন সুলতানা।
সেইদিনের দুর্ঘটনায় নাবিলের শরীর ৬০ ভাগ ঝলসে যায়। বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল বার্ন ইউনিটে ভর্তি আছেন বলে জানান তার মা।
আজ বুধবার (২৩ জুলাই) সন্দ্বীপের হারামিয়া ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডে নাবিলের গ্রামের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায় স্তব্ধতা। সে ওই এলাকার নিজাম উদ্দিনের ছেলে। তিন ভাই-বোনের মধ্যে নাবিলই সবার ছোট। বাবা ঠিকাদারি ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। তাঁরা সবাই উত্তরার ১২ নম্বর সেক্টরে থাকেন।
নাবিলের বড় বোন নাসরিন সুলতানা জানায়, দুর্ঘটনার সময় নাবিল স্কুলের শৌচাগারে ছিল। সেটি শ্রেণিকক্ষ থেকে কিছুটা দূরে। বিকট শব্দ শোনার পর নাবিল শৌচাগার থেকে বের হয়। শরীর ঝলসে যাওয়ার পর একজন শিক্ষিকা নাবিলকে উদ্ধার করেন। এ ঘটনায় ওই শিক্ষিকাও দগ্ধ হয়েছেন।
তিনি জানান, উদ্ধারের পর নাবিল নিজেই একটি রিকশা নিয়ে নিকটস্থ হাসপাতালে গেছে। তবে ওই হাসপাতালে যাওয়ার পরপরই জ্ঞান হারায় সে’।
নাবিলের মা চাটগাঁ নিউজকে বলেন, মঙ্গলবার নাবিলকে হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্চা কেন্দ্রে স্থানান্তর করা হয়েছে। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, শরীরের ৬০ শতাংশ পুড়ে গেলেও তার অবস্থা কিছুটা স্থিতিশীল। তবে এই ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অন্য আরেকটি ছেলের ঝলসানো ছবি নাবিলের বলে চালানো হচ্ছে, আসলে এটা নাবিলের ছবি না। ছেলের জন্য দোয়া চেয়েছেন তিনি।
চাটগাঁ নিউজ/ফয়সাল/এসএ