সনদে ভুল— জানতেন না চসিকের প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা!

অমর একুশে বইমেলা - ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক : প্রকাশকদের চরম হতাশা নিয়ে চট্টগ্রামে পর্দা নেমেছে অমর একুশে বইমেলার। বেচা-বিক্রি ও দর্শনার্থীর সংখ্যা ছিল প্রথম দিন থেকেই কম। তাইতো হতাশ বদনে শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) মেলা প্রাঙ্গন ত্যাগ করেছেন প্রকাশকরা।

শেষ দিন পর্যন্তও মেলার পরিস্থিতি ছিল প্রথম দিনের মতোই। এদিকে মেলার অংশগ্রহণী সনদেও ধরা পড়েছে ভুল। এই নিয়েও ক্ষোভও ঝেড়েছেন তারা।

প্রকাশকরা বলছেন, এমনিতেই প্রচার-প্রচারণার অভাবে দর্শনার্থী ও বেচা-বিক্রি ছিল খুবই কম। তারপর আবার সনদেও ভুল। ২০২৫ এর সনদে লেখা হয়েছে ২০২৪।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন প্রকাশক বলেন, এবার পরিচালনা পর্ষদের অবস্থা ছিল বেশ করুণ। কম প্রচারণা, রাজনৈতিক পটপরিবর্তন ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি সব মিলিয়ে আমরাও পড়েছি বেকায়দায়। যা আশা করেছিলাম তার আশেপাশেও বিক্রি করতে পারিনি এবার।

যদিও আয়োজকরা বলছেন, পুরো মাসে মেলায় মোট আড়াই কোটি টাকার বই বিক্রি হয়েছে। এছাড়াও মেলার শেষ দিনেই বিক্রি হয়েছে প্রায় ২৮ লাখ টাকার বই। তবে প্রকাশকদের দাবি, বিক্রির পরিমাণ তার ধারেকাছেও নেই।

প্রকাশকরা মনে করছেন— বইয়ের পিডিএফ বের হওয়া, দাম বেড়ে যাওয়া, কম প্রচারণা, রাজনৈতিক পটপরিবর্তন ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি মেলায় দর্শনার্থী কম থাকার একটি বড় কারণ।

শুধু তাই নয়, গত দুই বছর শুধু ২১ ফেব্রুয়ারিতেই নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ক্ষুদ্র এক প্রকাশনীর বিক্রি হয়েছিল ২ লাখ টাকার বেশি। কিন্তু এ বছর ২১ ফেব্রুয়ারিতে বিক্রি হয়েছে মাত্র ৬০ হাজার টাকা।

চট্টগ্রাম নগরীর কাজীর দেউড়ি এলাকার এম এ আজিজ স্টেডিয়ামের জিমনেশিয়াম মাঠে এবারের বইমেলা অনুষ্ঠিত হয়। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) উদ্যোগে চট্টগ্রাম সৃজনশীল প্রকাশক পরিষদ এ মেলার আয়োজন করে। যেখানে মোট ১৪০টি স্টল ছিল। এর মধ্যে চট্টগ্রামের স্টল ছিল ৭৪টি এবং ঢাকার ৪৪টি। শুরুতে মেলা ২৬ দিনের কথা বলা হলেও শেষের দিকে আরও দু’দিন বাড়ানোয় পুরো একমাস জুড়ে একুশে বইমেলার কার্যক্রম চলে।

চট্টগ্রাম সৃজনশীল প্রকাশক পরিষদের সভাপতি মো. সাহাব উদ্দীন হাসান বাবু জানান, বিক্রি প্রত্যাশা অনুযায়ী না হলেও তেমন খারাপ হয়নি। তিনি বলেন, ভবিষ্যতে আরও উন্নত ব্যবস্থাপনা ও প্রচারণার মাধ্যমে বইমেলাকে সফল করতে আমরা বেশ আশাবাদী।

তবে বই মেলার সনদে ভুলের ব্যাপারে জানতে চাইলে সাহাব উদ্দীন হাসান বাবু বলেন, এই বই মেলার সব কিছুই হয়েছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ত্বত্তাবধানে। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন আমাদের যে সনদ পাঠিয়েছেন আমরা ওটাই সকলকে দিয়েছি।

তবে ভুলের ব্যাপারে জানতেন না চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা ড. কিসিঞ্জার চাকমা। জানতে চাইলে ড. কিসিঞ্জার চাকমা বলেন, হয়তো প্রিন্টিং মিস্টেক হয়েছে। এখনো সুযোগ আছে, প্রয়োজনে সংশোধন করা হবে।

চাটগাঁ নিউজ/এইচএস/এমকেএন

Scroll to Top