চন্দনাইশ প্রতিনিধি: স্মরণকালের ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় গতকাল বাস আর সিএনজির মুখোমুখি সংঘর্ষে ঘটনাস্থালে সাতজন নিহত হয় খবরটি দ্রুত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে। নিহত সাতজনের পরিবার একমাত্র কর্তা নারায়ন দাশ ওমান প্রবাসী ফেইবুক থেকে সড়ক দূর্ঘটনার বিষয়টা জানতে পারে। তখন তিনি দ্রুত তার স্ত্রী রিতার মোবাইলে কল দিলে পুলিশের মাধ্যমে তাদের নিহতের ঘটনা জানতে পারে।
তাৎক্ষণিকভাবে বাংলাদেশ আসার জন্য রাত ২ টার ফ্লাইটে ধরে বাংলাদেশে আসে তার ফ্যামিলি সকল সদস্যের শেষ সৎকার করার জন্য মুমূর্ষ অবস্থায় অংশগ্রহণ করেন ।
সড়ক দুর্ঘটনা পর পরে ফ্যামিলিগতভাবে বাড়িতে তেমন কেউ না থাকার কারণে সমাধি এবং সৎকারের সকল আয়োজন এর ব্যবস্থা করেন ২ নং জোয়ারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম চৌধুরী রোকন।
নিহত ফ্যামিলিদের সকলের যাবতীয় খরচ বহন করেন উপজেলা পরিষদের অর্থায়নে নিহত প্রতিজনের জন্য ২৫ হাজার টাকা করে অর্থ প্রদান করেন
চন্দনাইশ উপজেলার ২ নং জোয়ারা ইউনিয়নে মোহাম্মদপুর ধোপা বাড়ির একই ফ্যামিলির সাত জন নিহতের সৎকারে অংশগ্রহণ করেন চন্দনাইশ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল জব্বার চৌধুরী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদা বেগম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু আহমদ জুনু, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা সোলমান ফারুকী ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান কামালা খানম রুপা।
নিহত ৭ জনের মধ্যে হলো ১। রীতা দাশ ( ৪০), স্বামী- নারায়ণ দাশ, ২।শ্রীবন্তী দাশ (১৮), পিতা নারায়ণ দাশ ৩। বিল্পব দাশ (২৭), পিতা সম্ভু দাশ, এরা তিন জনকে চিতায় আগুন দিয়ে সৎকার করাহয়।
৪। দিপ দাশ (৩) ,পিতা নারায়ণ দাশ ৫। দিপ্ত দাশ ,(৩) পিতা নারায়ণ দাশ এবং ৬। বর্ষা দাশ (১০) বাক প্রতিবন্ধী, পিতা নারায়ণ দাশ, ছোট এই তিন জনকে সমাধি করা হয়।
৭। চিনু দাশ (৪০) নারায়ণ দাশ এর বোন ,তার পিতা ননি গোপাল দাশ এর মেয়েকে সাতবাড়িয়া তার শ্বশুরবাড়িতে সৎকার করার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়।
এ বিষয়ে মুমূর্ষ অবস্থায় নারায়ণ দাশ কাছে জানতে চাইলে যোগাযোগ মাধ্যমে জানতে পারে তার পরিবারের সকলের নিহতের ঘটনা তিনি বলেন facebook সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে দেখে তার স্ত্রীর মোবাইলের কল দিলে পুলিশ থেকে এই বিষয়টি জানতে পারে তখন তিনি রাত দুইটায় ফ্লাইটে বাংলাদেশের উদ্দেশ্যে রওনা দেন তার ফ্যামিলিতে কেউ নাই তার বলারও কিছু নাই তিনি একেবারে নিঃস্ব।