সৌদি আরবে এ পর্যন্ত ৩১ বাংলাদেশি হজযাত্রীর মৃত্যু

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : পবিত্র হজ পালনে সৌদি আরবে গিয়ে এখন পর্যন্ত ৩১ বাংলাদেশি হজযাত্রীর মৃত্যু হয়েছে, যার মধ্যে ২৫ জন পুরুষ ও ৬ জন নারী। এদের ২৪ জন মক্কায়, ৪ জন মদিনায়, একজন জেদ্দায় এবং ২ জন মিনায়। হজের আনুষ্ঠানিকতা শুরুর আগে ১৭ জন এবং পরে বাকি ১৪ জন মারা যান।

বৃহস্পতিবার (২০ জুন) রাতে হজ সম্পর্কিত সর্বশেষ বুলেটিনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এয়ারলাইন্স, সিভিল অ্যাভিয়েশন অথরিটি অব বাংলাদেশ, বাংলাদেশ হজ অফিস ঢাকা ও সৌদি আরবে সূত্রের বরাতে তথ্যগুলো হেল্পডেস্কের।

জানা যায়, প্রথম বাংলাদেশি হজযাত্রী মারা যান গত ১৫ মে। এরপর ৩৪ দিনের ব্যবধানে মক্কা, মদিনা, জেদ্দা ও মিনার স্থানীয় বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান আরও ৩০ বাংলাদেশি হজযাত্রী। ১২ জুন একদিনে কিশোরগঞ্জ জেলার সুফিয়া আক্তার (৬২) ও কুমিল্লা জেলার শাহাআলম (৭৭) মারা গেছেন। এর আগে ১০ জুন একদিনে গোলাম কুদ্দুস (৫৪) ও শাহাজুদ আলী (৫৫) নামে দুজন হজযাত্রী মারা যান। এর মধ্যে গোলাম কুদ্দুসের বাড়ি রংপুরের তারাগঞ্জে। আর শাহাজুদ আলীর বাড়ি রংপুরের পীরগঞ্জে।

মারা যাওয়া অপর হজযাত্রীরা হলেন: নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া উপজেলার মো. আসাদুজ্জামান (৫৭), ভোলা জেলার মো. মোস্তফা (৯০), কুড়িগ্রাম জেলার মো. লুৎফর রহমান (৬৫), ঢাকা জেলার নবাবগঞ্জের মো. মুরতাজুর রহমান (৬৩), চট্টগ্রাম জেলার রাউজান উপজেলার মোহাম্মদ ইদ্রিস (৬৪), ঢাকা জেলার কদমতলির মোহাম্মদ শাহজাহান (৪৮), কুমিল্লা জেলার মো. আলী ইমাম ভুঁইয়া (৬৫), কক্সবাজার জেলার মহেশখালী উপজেলার মো. জামাল উদ্দিন (৬৯), রামু উপজেলার মোহাম্মদ নুরুল আলম (৬১), চকরিয়া উপজেলার মাকসুদ আহমদ (৬১), ফরিদপুর জেলার নগরকান্দার মমতাজ বেগম (৬৩), ঢাকার রামপুরার বাসিন্দা আরিফুল ইসলাম (৫৭) ও গাইবান্ধা জেলার সাঘাটা উপজেলার মো. সোলাইমান (৭৩)।

এদিকে, হজের আনুষ্ঠানিকতা শুরুর পর যে ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে, তাদের মধ্যে ১৩ জনের পরিচয় পাওয়া গেছে। এরা হলেন: ঢাকার উম্মে কুলসুম (৪৭), মাদারীপুরের ইদিস খান (৬৬), নোয়াখালীর মো. জহিরুল ইসলাম (৭৩), ঢাকার মনির হোসেন (৫৯), কিশোরগঞ্জের ফরিদা ইয়াসমিন (৫৩), পিরোজপুরের নার্গিস (৬০), ঢাকার মো. আমিরুল ইসলাম (৬৫), নোয়াখালীর মো. মোয়াজ্জাম (৬৮), নরসিংদীর মো. সিদ্দিকুর রহমান (৪৮), ঢাকার মো. তোফাজ্জল (৭০), ঢাকার রওশান আরা বেগম (৭২), বগুড়ার মো. রেজাউল করিম (৬১) ও টাঙ্গাইলের মো. আলমগীর হুসাইন খান (৭৩)।

হজের সফরে মৃত্যু নিয়ে নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সুসংবাদ ঘোষণা করেছেন। তিনি বলেন, যে ব্যক্তি হজের উদ্দেশ্যে বের হলো, এরপর মৃত্যুবরণ করলো, কেয়ামত পর্যন্ত তার জন্য হজের সওয়াব লেখা হবে। আর যে ব্যক্তি ওমরাহর উদ্দেশ্যে বের হলো, আর সে অবস্থায় তার মৃত্যু হলো, কেয়ামত পর্যন্ত তার জন্য ওমরাহর সওয়াব লেখা হবে।  (মুসনাদে আবু ইয়ালা-৬৩৫৭)

চাটগাঁ নিউজ/এসআইএস

Scroll to Top