বাঁশখালী প্রতিনিধি : বাঁশখালীর চাম্বল ইউনিয়নে স্বামীর সংসার ফিরে পেতে আমরণ অনশন করেছেন খালেদা বেগম নামের তিন সন্তানের জননী।
মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) পশ্চিম চাম্বলে জলেয়ার বাপের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, চাম্বল ইউনিয়নের পশ্চিম চাম্বলের বাসিন্দা আবদুর রশিদ জোরপূর্বক ২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারির ৪ তারিখ চট্টগ্রামের সিনিয়র সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও নোটারি পাবলিক কার্যালয়ে হলফনামা দিয়ে খালেদা বেগমকে বিয়ে করেন। দীর্ঘ ১১ বছরের সংসারে তাদের দুই ছেলে এবং এক প্রতিবন্ধী কন্যা সন্তান রয়েছে।
খালেদা বেগম দাবি করেন, তার স্বামী দুবাই থেকে দেশে ছুটিতে এসে ১৭ দিন বাড়িতে অবস্থান করেন। অবস্থান কালে হীরা মনি নামে এক মহিলার সাথে পরকীয়া প্রেমে জড়িয়ে পড়েন। বিষয়টি খালেদা বেগম জানতে পেরে প্রতিনিয়ত কান্না করতো। এসব বিষয় তার ননদের জামাই জানতে পারলে তাকে আবার দুবাই নিয়ে যান। কিন্তু দুবাই যাওয়ার ৩ দিনের মাথায় খালেদা বেগমের মোবাইল নম্বর ব্লক করে দেয় তার স্বামী।
তিনি বলেন, বিদেশ যাওয়ার ৫ দিনের মাথায় তিনি আবার দেশে চলে এসে চট্টগ্রাম শহরে হীরা মনি নামের ওই মহিলাকে নিয়ে অবস্থান করেন। অন্য দিকে তার বাপের বাড়িতে তালাকনামা পাঠিয়ে দেন তার স্বামী। তিন সন্তানের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে হলেও আমি পুনরায় সংসারে ফিরে যেতে চাই। নইলে আমি অনশনে মরে যাবো।
খোজ নিয়ে জানা গেছে, আবদু রশিদ তিন সন্তানের জননীকে তালাক দিয়ে দুবাই চলে গেছেন। তার সঙ্গে সাথে একাধিক বার ফোনে যোগাযোগ করতে চাইলেও ব্যর্থ হয় খালেদা বেগম। ভরণপোষণও দিচ্ছে না স্বামী আবদু রশিদ। এমনকি স্বামীর ঘর থেকে তার শ্বাশুড়ি আনোয়ারা বেগম।কয়েকবার বের করে দিয়েছেন বলেও অভিযোগ করেন খালেদা বেগম।
চাটগাঁ নিউজ/এসএ