চাটগাঁ নিউজ ডেস্ক চট্টগ্রাম নগরীর ষোলশহর থেকে মুরাদপুর কোটাবিরোধী আন্দোলনকারীদের সঙ্গে ছাত্রলীগের সংঘর্ষ ৩ জনের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়েছে। তবে প্রশাসনের কারো বক্তব্য পাওয়া যাচ্ছে না। একটি গোয়েন্দা সংস্থা ৩ জনের মৃত্যু নিশ্চিত করেছে। তাদের মরদেহ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। আহত হয়েছেন অন্তত ২০ জন।
৩ জনের মৃত্যুর বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ তসলিম উদ্দীন।
নিহতরা হলেন-ফারুক ও ওয়াসিম আকরাম। ফারুকের বাড়ি কুমিল্লায়। তিনি ফার্নিচারের দোকানে চাকরি করতেন। ওয়াসিম চট্টগ্রাম কলেজের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র। বাকি একজনের নাম পরিচয় পাওয়া যায়নি। তিনি পথচারী বলে জানা গেছে।
এদিকে দুই পক্ষের সংঘর্ষে পুরো ষোলশহর ২ নং গেইট মুরাদপুর পর্যন্ত রণক্ষেত্রে পাল্টা ধাওয়া চলছে। দ্বিতীয় দিনের মত আজ মঙ্গলবার বিকেল ৪টার দিকে এই সংঘর্ষ শুরু হয়।
আন্দোলনকারী চবি ছাত্রসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা চলমান কোটাবিরোধী আন্দোলনে বেলা ৩টা থেকে ষোলশহর ষ্টেশনে জড়ো হলে বিকেল ৪টার দিকে ছাত্রলীগ-যুবলীগের সঙ্গে সংঘর্ষ শুরু হয়। এসময় উভয় পক্ষের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনায় পুরো এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। থেমে থেমে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটছে, কারো কারো হাতে অস্ত্রের দেখাও মিলছে। তবে ঘটনাস্থলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের অবস্থান নেই। পুলিশ সদস্যরা অবস্থান করছে কেজিডিসিএল কার্যালয়ের সামনে।
মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) বেলা ৫টার দিকে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মুরাদপুর-ষোলশহরে সংঘর্ষ চলছে।
আন্দোলনকারীরা বলছেন, তারা মুরাদপুর হয়ে অবস্থান কর্মসূচি সফল করতে ষোলশহর এলাকায় যাওয়ার সময় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তাদের ওপর হামলা করে। এরপরে তারাও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা হামলা চালায়। এসময় ৩ জন নিহত ও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে।
এর আগে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ও নগরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে নগরের ষোলশহরে জমায়েত হতে থাকে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। এদিকে, নগর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নুরুল আজিম রনির নেতৃত্বে ছাত্রলীগের একটি অংশ মিছিল সহকারে দুই নম্বর গেট থেকে মুরাদপুরের দিকে অগ্রসর হতে থাকে। এসময় দুপক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া এবং সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
চাটগাঁ নিউজ/এসআইএস/এসএ