সিপ্লাস ডেস্ক: শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে করা মামলায় আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান এবং নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজন আগামীকাল বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) শ্রম আদালতে হাজির হবেন।
বুধবার (৮ নভেম্বর) ড. ইউনূসের আইনজীবী আব্দুল্লাহ আল মামুন বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
আইনজীবী বলেন, যেহেতু বৃহস্পতিবার ৩৪২ ধারায় আত্মপক্ষ সমর্থনের দিন ধার্য আছে, কাজেই ড. ইউনূস আদালতে হাজির হবেন। যদিও কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তর এ মামলাটি প্রমাণ করতে সক্ষম হয়নি।
এর আগে শ্রম আইন লঙ্ঘনের এ মামলায় এরই মধ্যে চার সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ ও জেরা শেষ হয়েছে। গত ১১ অক্টোবর মামলার বাদী এবং প্রথম সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ হয়। এরপর গত ১৮ অক্টোবর দ্বিতীয় সাক্ষী, ২৬ অক্টোবর তৃতীয় সাক্ষী এবং গত ২ নভেম্বর চতুর্থ সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়।
এ মামলায় কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী সৈয়দ হায়দার আলী ও মো. খুরশীদ আলম খান। ড. ইউনূসসহ চারজনের পক্ষে আদালতে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুন ও ব্যারিস্টার খাজা তানভীর আহমেদ।
গত ১১ অক্টোবর মামলার বাদী শ্রম পরিদর্শক তরিকুল ইসলামকে আসামিপক্ষের জেরা শেষ হয়। গত ২২ আগস্ট এ সাক্ষীর জবানবন্দি গ্রহণ করার পর তাকে জেরা করেন ড. ইউনূসের আইনজীবীরা। এরপর গত ৫, ১৩, ২০ ও ২৭ সেপ্টেম্বর এবং ৩ ও ১১ অক্টোবর সাক্ষীকে জেরা করেন ইউনূসের আইনজীবী।
আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান বলেন, আমাদের বাদীপক্ষের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে। ৯ নভেম্বর ড. ইউনূসসহ চারজন আসামির আত্মপক্ষ সমর্থন করে বক্তব্য রাখার দিন ঠিক করা হয়েছে। তিনি বলেন, ওইদিন ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে আদালতে আসতে হবে। কারণ, গত ৬ নভেম্বর থেকে তার জামিন অকার্যকর হয়ে গেছে।
গত ২ নভেম্বর এ মামলায় চতুর্থ সাক্ষী মো. মিজানুর রহমান আদালতে জবানবন্দি দেন। এরপর তাকে আসামিপক্ষ জেরা করেন।
এর আগে গত ২৬ অক্টোবর তৃতীয় এবং ১৮ অক্টোবর এ মামলার দ্বিতীয় সাক্ষী হাদিউজ্জামানের সাক্ষ্য নেওয়া হয়। গত ১১ অক্টোবর মামলার বাদী শ্রম পরিদর্শক তরিকুল ইসলামের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়।
২০২১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের শ্রম পরিদর্শক আরিফুজ্জামান বাদী হয়ে ড. ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে ওই মামলা করেন। মামলায় শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনে নির্দিষ্ট লভ্যাংশ জমা না দেওয়া, শ্রমিকদের চাকরি স্থায়ী না করা, গণছুটি নগদায়ন না করায় শ্রম আইনের ৪-এর ৭, ৮, ১১৭ ও ২৩৪ ধারায় অভিযোগ আনা হয়।
এ মামলায় ড. ইউনূস ছাড়াও গ্রামীণ টেলিকমের এমডি মো. আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুরজাহান বেগম ও মো. শাহজাহানকে বিবাদী করা হয়েছে।