চাটগাঁ নিউজ ডেস্ক : জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সরকারের পতনের দিন আন্দোলনকারীদের মিছিলে গুলি চালিয়ে এক শ্রমিককে খুনের অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলায় আওয়ামী লীগের (কার্যক্রম নিষিদ্ধ) এক নেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
সোমবার (২৩ জুন) রাতে নগরীর ডবলমুরিং থানার পানওয়ালা পাড়ায় নিজ বাসা থেকে ওই আওয়ামী লীগ নেতাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
গ্রেফতার মো. আকবর আলী (৪৬) নগরীর ২৪ নম্বর উত্তর আগ্রাবাদ ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলে পুলিশ জানিয়েছে।
নগর পুলিশের পশ্চিম জোনের উপ-কমিশনার হোসাইন মোহাম্মদ কবির ভূইঁয়া জানান, শ্রমিক মো. ইউসুফ খুনের ঘটনায় নগরীর ডবলমুরিং থানায় করা মামলার তদন্তে আকবর আলীর সম্পৃক্ততার তথ্য নিশ্চিত হওয়ার পর তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশের সংগ্রহ করা ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, আকবর আলী সরাসরি অস্ত্র হাতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গুলি চালান। তার বিরুদ্ধে নগরীর বিভিন্ন থানায় আরও সাতটি মামলা আছে।
গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটে। ওইদিন সন্ধ্যায় নগরীর ডবলমুরিং থানার দেওয়ানহাট এলাকায় গুলিতে মো. ইউসুফ (৩৫) নামে একজন খুনের ঘটনায় গত ৯ এপ্রিল একটি মামলা হয়। ইউসুফের বাবা মো. ইউনুচ মামলাটি করেন।
মামলায় সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, সাবেক সংসদ সদস্য এম এ লতিফ ও মহিউদ্দিন বাচ্চু, নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক কাউন্সিলর মোরশেদ আক্তার চৌধুরী, ওয়াসিম উদ্দিন চৌধুরী, আবদুস সবুর লিটন ও তৌফিক আহম্মদ চৌধুরী, নগর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নুরুল আজম রনি, আওয়ামী লীগ নেতা দিদারুল আলম মাসুম ও আরশেদুল আলম বাচ্চুসহ ২৫ জনের নাম উল্লেখ করে ২০০ থেকে ৩০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়।
মামলার এজাহারে উল্লেখ আছে, নিহত ইউসুফ হাটহাজারী উপজেলার পশ্চিম ধলই ইউনিয়নের বাসিন্দা ছিলেন। তবে তিনি পরিবার নিয়ে ডবলমুরিং থানার ঝর্ণাপাড়া এলাকার ভাড়া বাসায় থাকতেন। তিনি নগরীর আইস ফ্যাক্টরি রোডের একটি বরফকলে শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন।
উল্লেখ্য, গতবছরের ৫ আগস্ট সকালে ইউসুফ বাসা থেকে বরফকলে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বের হন। তার স্ত্রী ও সন্তানরা তাদের গ্রামের বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিলেন। সেদিন সন্ধ্যা সাতটায় ইউসুফ তার স্ত্রীকে জানান, তিনি নগরীর দেওয়ানহাট এলাকার বিভিন্ন দোকানে বরফ সরবরাহ করতে যাচ্ছেন। ৫ আগস্ট রাত সাড়ে ১১টার দিকে তার স্ত্রীর বড় বোন মোবাইলে কল দিয়ে জানান, ইউসুফ বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারীদের একটি মিছিল চলাকালে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছেন।
চাটগাঁ নিউজ/এসএ