চাটগাঁ স্পোর্টস ডেস্ক : খুলনা টাইগার্সের জয়ের জন্য শেষ ওভারে প্রয়োজন ছিল ২৫ রান। রিপন মন্ডলের করা ওভারের প্রথম তিন বলে দুই ছক্কায় ১২ রান তোলেন নাঈম শেখ। তাতে কিছুটা হলেও জয়ের স্বপ্ন দেখছিল টাইগার্স ভক্তরা। কিন্তু চতুর্থ বলে নাঈম আউট হলে ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় খুলনা। শেষ পর্যন্ত ৭ রানের জয় পেয়েছে তারা।
চট্টগ্রামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৬৭ রান সংগ্রহ করে বরিশাল। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৫০ রান এসেছে মাহমুদউল্লার ব্যাট থেকে। জবাবে খেলতে নেমে ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৬০ রানের বেশি করতে পারেনি খুলনা।
১৬৮ রানের লক্ষ্য তাড়ায় বাজে শুরু করে খুলনা। ডাক মেরে ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই সাজঘরে ফেরেন ইমরুল কায়েস। তিনে নেমে সেই ধাক্কা সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন মিরাজ। তবে ২৯ বলে ৩৩ রানের বেশি করতে পারেননি তিনি। এরপর অ্যালেক্স রস দ্রুত ফিরলেও ভালো শুরু পেয়েছিলেন আফিফ হোসেন। ১৭ বলে ২৭ রান করে আউট হয়েছেন তিনি।
এক প্রান্তে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারালেও আরেক প্রান্ত আগলে রেখে ব্যাটিং করেছেন নাঈম শেখ। শুরুতে ধীরগতির ব্যাটিং করলেও শেষদিকে রান-বলের সমীকরণ মেলানোর চেষ্টা করেছেন তিনি। তবে ব্যর্থ হয়েছে এই ওপেনার। শেষ ওভারে সাজঘরে ফেরার আগে ৫৯ বলে ৭৭ রান করেছেন নাঈম।
এর আগে ব্যাটিংয়ে শুরুটা মোটেও ভালো হয়নি বরিশালের। ইনিংসের প্রথম ওভারেই সাজঘরে ফেরেন দুই অভিজ্ঞ ব্যাটার তামিম ইকবাল ও ডেভিড মালান। দুজনই মিরাজের বলে আউট হয়ে ডাক খেয়েছেন। আরেক অভিজ্ঞ ব্যাটার মুশফিকুর রহিমও এদিন ব্যর্থ ছিলেন। ৪ বলে ৫ রানের বেশি করতে পারেননি তিনি।
১৬ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর দলের হাল ধরেন তাওহিদ হৃদয় ও মাহমুদউল্লাহ। এদিন ইনিংস ওপেন করতে নেমে দারুণ শুরু পেয়েছিলেন হৃদয়। তবে ইনিংস বড় করতে পারেননি। ৩০ বলে করেছেন ৩৬ রান।
হৃদয় ফেরার পর আরো একবার বরিশালের ইনিংসে ধস নামে। মোহাম্মদ নবি ও ফাহিম আশরাফ দুই অঙ্ক ছোঁয়ার আগেই সাজঘরে ফেরেন। তাতে একশর আগেই ৬ উইকেট হারিয়ে অলআউটের শঙ্কায় পড়ে ফরচুনরা। তবে রিশাদ হোসেনকে সঙ্গে নিয়ে এবারও দলকে টেনে তোলেন মাহমুদউল্লাহ।
শেষ পর্যন্ত ৪৫ বলে ৫০ রান করেছেন মাহমুদউল্লাহ। আর রিশাদের ব্যাট থেকে এসেছে ১৯ বলে ৩৯ রান। আর শেষদিকে ৪ বলে ১২ রান করেছেন তানভির ইসলাম।
চাটগাঁ নিউজ/এসএ