সিপ্লাস ডেস্ক: এ সরকার, তথা শেখ হাসিনার অধীনে কোনো নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না মন্তব্য করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, এ দেশে নির্বাচন এখন সরকারি দলের একটা খেলায় পরিণত হয়েছে।
শুক্রবার (২৩ জুন) বিকেলে রাজধানীর শাহজাদপুরে সুবাস্তু শপিং মলের সামনে আয়োজিত এক সমাবেশে এসব কথা বলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
‘দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, সীমাহীন দুর্নীতি, শ্রমিক নির্যাতন বন্ধ, অবৈধ সরকারের পদত্যাগ ও দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি’র দাবিতে শ্রমিক-কর্মচারী সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল কর্মসূচির আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল। বিকেল চারটার দিকে সমাবেশ শেষে পদযাত্রা বের করা হয়। সমাবেশস্থল থেকে পদযাত্রা শুরু হয়ে রামপুরার আবুল হোটেলে গিয়ে শেষ হবে। শ্রমিক দলের পদযাত্রার কারণে এই এলাকায় ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হতে দেখা গেছে।
কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা ফখরুল বলেন, এ সরকার নির্বাচিত সরকার নয়। জনগণের দ্বারা নির্বাচিত হয়নি। ২০১৪ সালে তারা একতরফা নির্বাচন করেছে। ১৫১ জনকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত করে সরকার গঠন করেছে। ২০১৮ সালের দিনের ভোট রাতে করে তারা জোর করে ক্ষমতা দখল করেছে।
ক্ষমতাসীনদের দখলদার সরকার উল্লেখ করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, তারা জোর করে ক্ষমতায় বসে দেশের মানুষের জীবন দুর্বিষহ করে তুলেছে। শ্রমিকেরা ন্যায্য মজুরি পাচ্ছেন না। চাল, ডাল, তেল, লবণসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। সাধারণ কর্মজীবী মানুষের তা কিছুতেই কেনা সম্ভব হচ্ছে না।
প্রধানমন্ত্রী যে কথাগুলো বলছেন, তা দেশকে বিপদে ফেলে দিচ্ছে বলে মনে করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, ‘আমেরিকা থেকে ফিরে এসে তিনি (প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা) বললেন, আমেরিকা নাকি তাঁকে সরাতে চায়। প্রধানমন্ত্রী কাছে এমন বক্তব্য আমরা আশা করিনি। তার মানে তিনি জেনে গেছেন, আন্তর্জাতিক বিশ্ব আপনাকে সমর্থন দিচ্ছে না; বাংলাদেশে তো আপনার সমর্থন নাই-ই।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ একটাই কথা বলছে, আপনি এই মুহূর্তে চলে যান। পরিষ্কার কথা, পদত্যাগ করুন। পদত্যাগ করে একটা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে, নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা দিন। কারণ, এ দেশে হাসিনা সরকারের অধীন কোনো নির্বাচন হবে না। এ ব্যাপারে এই দেশের মানুষ নিশ্চিত।’
বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, ‘আন্দোলনের মাধ্যমে জবরদখল করে ক্ষমতায় বসা এ সরকারকে সরাতে হবে। এ সরকার আন্দোলনকে এত ভয় পায় বলেই আমাদের নেতা-কর্মীদের আটক করে রেখেছে।’
সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, বিএনপির সহ শ্রম বিষয়ক সম্পাদক হুমায়ুন কবির খান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালাম, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমান ও সদস্যসচিব আমিনুল হক, শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসাইন, শ্রমিক দল ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক সুমন ভূঁইয়া, শ্রমিক দল ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক কাজী শাহ আলম রাজা প্রমুখ।